দেহঘড়ি পর্ব-০২৩
আকুপাংচারও কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে দারুণ কাজ করে। সঠিক পয়েন্টে আকুপাংচার দেহের ‘ছি’ প্রবাহের চ্যানেলগুলোর প্রতিবন্ধকতা দূর করে। রোগীর লক্ষণের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের আকুপাংচার পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় থিয়ানশু (পেটের মাঝখানে), তা চাং শু (পিঠের নিচের দিকে), তাহেং (পেটের বাইরে মাঝখানে) এবং নেইথিং (দ্বিতীয় পায়ের আঙ্গুলের গোড়া)। এসব পয়েন্টে আকুপাংচার অন্ত্রকে ঠান্ডা করতে এবং মল নরম করতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিকভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়:
• নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস করুন। প্রতিদিন সকালে একই সময়ে টয়লেটে যান এবং টয়লেটে যাওয়ার বেগ এলে উপেক্ষা করা এড়িয়ে চলুন। টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বা কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন কারণ এটি অন্ত্রের গতি বিঘ্নিত করতে পারে।
• খাদ্যতালিকায় ওটস ও ব্রাউন রাইসের মতো আঁশযুক্ত খাবার এবং অ্যামন্ড, তিল ও আখরোটের মতো তেলসমৃদ্ধ বাদাম বাড়ান। এগুলো জল শোষণ করে না, তবে মলের পরিমাণ বাড়ায়, যার কারণে নিয়মিত মলত্যাগের চাপ থাকে।
• বেশি করে আপেল, কলা ও কমলার মতো ফল এবং গাজর, কালো ছত্রাক, সাদা মুলা ও আলুর মতো শাকসবজি খান। এসব খাবারের দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় জল শোষণ করে। এটি মল নরম করতে সাহায্য করে, যার ফলে মলত্যাগ সহজ হয়।
• বেশি করে পানি ও মধু পান করুন। জল অন্ত্রে লুব্রিকেন্টের মতো কাজ করে। একজন সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করা উচিৎ। তবে যদি আপনার অন্য রকম পরামর্শ দেয়, সেটি মেনে চলুন।
• বেশি ভাজা, মশলাদার বা ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
#চিকিৎসার_খোঁজ
নানথুং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হাসপাতাল