দেহঘড়ি পর্ব-০২২
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’ এবং চীনে ‘জাতীয় চক্ষুসেবা দিবস’ পালনের খবর।
#খবর
চীনে পালিত হলো ‘জাতীয় চক্ষুসেবা দিবস’
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ৬ জুন চীনে পালিত হলো ‘জাতীয় চক্ষুসেবা দিবস’। চোখের স্বাস্থ্যের গুরুত্বের কথা তুলে ধরা এবং চোখের যত্ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে চীনে।
চলতি বছরেরটি ছিল ২৭তম জাতীয় চক্ষুসেবা দিবস। এবার এ দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সর্বজনীন চক্ষুস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন এবং যৌথভাবে স্বাস্থ্য গড়ে তুলুন’। জনগোষ্ঠি হিসাবে শিশু-কিশোর ও বয়স্কদের উপর এবং রোগ হিসাবে মায়োপিয়া, অন্যান্য চক্ষু ত্রুটি, ছানি, ফান্ডাস রোগ, গ্লুকোমা ও কর্নিয়াল অন্ধত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এ বছরের প্রতিপাদ্যে। এবারের কার্যক্রমের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এই ধারণা প্রচার করা যে, ‘প্রত্যেকেই তার নিজের চোখের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য দায়ী প্রথম ব্যক্তি’।
সরকারি তথ্য বলছে, চীনে গত ৩ দশকে বিভিন্ন বয়স-ভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে অন্ধত্বের হার প্রায় এক চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়েছে। ওই সময় চীনে চক্ষুস্বাস্থ্য নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। এ নীতিতে গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্র অন্ধত্ব প্রতিরোধ থেকে চক্ষুস্বাস্থ্য উন্নয়নের দিকে পরিবর্তিত হয়েছে। চক্ষুস্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনার নাম পরিবর্তনের মধ্যেও এ নীতি-পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়েছে। আগে এটির নাম ছিল ‘অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চিকিত্সা বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনা’ এবং ২০১৬ সালে এটি পরিবর্তিত হয় ‘চক্ষুস্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনা’য়।
গুরুত্বের ক্ষেত্র পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ‘জনস্বাস্থ্য চক্ষুবিদ্যা’ ধারণাটি উত্থাপিত হয় এবং ২০১৮ সালে ‘জনস্বাস্থ্য চক্ষুবিদ্যা’ সম্পর্কিত প্রথম জাতীয়-স্তরের একাডেমিক প্রতিষ্ঠান - চাইনিজ সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ অফথালমোলজি - প্রতিষ্ঠিত হয়।