বাংলা

দেহঘড়ি পর্ব-০০৯

CMGPublished: 2023-03-12 10:20:29
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

৩. শক পিরিয়ড: এ পর্বে রোগীর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, অঙ্গ ঠান্ডা থাকে, বিরক্তিভাবে থাকে, শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় এবং রক্তচাপ হ্রাস পায়। এ পর্বে চিকিৎসায় গুরুত্ব দেওয়া হয় শরীরের মূল শক্তি বা ‘ছি’তে ভারসাম্য আনার দিকে।

৪. পুনরুদ্ধারের সময়কাল: এ পর্বের লক্ষণ হলো শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, কথা বলায় অনীহা ইত্যাদি। এ সময়ের চিকিৎসার লক্ষ্য থাকে প্লীহা ও পাকস্থলীকে চাঙ্গা করা এবং ‘ছি’ ও তার শীতল অংশ অর্থাৎ ‘ইয়িন’কে পুষ্ট করা।

ডেঙ্গুজ্বরের উপসর্গ উপশমে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে চিকিৎসার পাশাপামি বিশ্রামও খুব গুরুত্বপূর্ণ। টিসিএমের বিধান অনুযায়ী, ডেঙ্গুজ্বর উপশমে যেসব ভেষজ ব্যবহার করা হয়, তার কতগুলো নিয়ে আলাপ করবো আমরা।

পেঁপে পাতার রস: ডেঙ্গুজ্বরের কারণে রক্তে প্লেটলেট কমে যায়, যাকে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বলা হয়। পেঁপে পাতার রস বা নির্যাস দ্রুত প্লেটলেট বাড়াতে পারে। এ রসে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ইমিউনোমোডুলেটরি যৌগ থাকে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ওপর পরিচালিত একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে পাতার রস গ্রহণ করলে ৪০ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্লেটলেট বাড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে।

হলুদ: হলুদের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভাল কাজ করে। হলুদ চায়ের মতো করে বা রস বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

পেয়ারা পাতা: গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতা দিয়ে সিদ্ধ করা পানি খেলে রক্তে প্লেটলেট বাড়ে। পেয়ারা গাছের অন্যান্য অংশগুলোও এমন সব যৌগে পূর্ণ যা ডেঙ্গুজ্বর উপশমে সহায়ক হতে পারে। এর গ্যালিক অ্যাসিড, কোয়ারসেটিন ও ক্যাটেচিন ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিভাইরাস হিসাবে কাজ করে।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn