দেহঘড়ি পর্ব-০০৯
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
ডেঙ্গুজ্বর নিরাময়ে টিসিএম
ডেঙ্গুজ্বর হলো ডেঙ্গু ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে পরিবাহিত হয় ও ছড়ায়। ডেঙ্গুজ্বর দু’ ধরনের হয় -- হেমোরেজিক ফিভার এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যু হার কম হলেও এর উপসর্গগুলো যেমন জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, বমি, পেটে ব্যথা, পেশী ও অস্থিসন্ধির ব্যথা তীব্র হয়। তাই এ রোগকে উপেক্ষা করা উচিত না। এই রোগের চিকিত্সার ওষুধ এখনও পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি। তাই ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসার মূল লক্ষ্য থাকে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ, জটিলতা এড়ানো এবং প্লেটলেট হ্রাস নিয়ন্ত্রণ করা।
ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা বা টিসিএমে ডেঙ্গুজ্বরকে প্লেগ শ্রেণীর অন্তর্গত মনে করা হয়। চীনের বিখ্যাত টিসিএম চিকিৎসক লি শিন ওয়েই মনে করেন, “প্লেগ বা জ্বরজনিত অসুস্থতা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়। এ রোগ হলে জ্বর ছাড়াও, মাথা ঘোরা ও ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।” টিসিএমে ডেঙ্গুজ্বর নির্ণয় ও চিকিত্সার সময়কালকে ৪টি পর্যায় হিসাবে দেখা হয়।
১. জ্বরের সময়কাল: এ সময়ের উপসর্গ হলো ঠান্ডা লাগা, উচ্চমাত্রার জ্বর, মাথা ও শরীরে ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া। এ পর্বে একজন টিসিএম চিকিৎসক যে ওষুধ দেন সেগুলো মূলত শরীরের তাপ উপশম করে এবং ক্লেদ দূর করে।
২. ফুসকুড়ি ও রক্তপাতের সময়কাল: এ পর্বের উপসর্গের মধ্যে থাকে উচ্চমাত্রার জ্বর, পলিডিপসিয়া বা তীব্র পিপাসা, ফুসকুড়ি, ত্বকের বিবর্ণতা, মলে রক্ত, বমি ও ডায়রিয়া। এ পর্বের চিকিৎসার লক্ষ্য থাকে শরীরের তাপ দূর করা, রক্ত ঠান্ডা করা এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করা।