দেহঘড়ি পর্ব-০০৮
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
ব্রঙ্কাইটিস নিরাময়ে টিসিএম
ব্রঙ্কাইটিস হলো শ্বাসযন্ত্রের এক ধরনের সংক্রমণ, যার কারণে ব্রঙ্কিয়াল টিউব বা শ্বাসনালী স্ফীত হয়। এ রোগ হলে সাধারণত বুকে কফ জমে যায়, কফসহ কাশি হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সাধারণ সর্দি বা নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে যে ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ, সেই একই ধরনের ভাইরাসের কারণে ঘটে তীব্র ব্রঙ্কাইটিস।
তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস বলতে ফুসফুস ও ব্রঙ্কিয়াল টিউবগুলোর দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহকে বোঝায়, যা আসলে সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। যদি একজন ব্যক্তির শ্লেষ্মাসহ কাশি থাকে, যা মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর স্থায়ী হয়, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস। এটি ধূমপান, বায়ু দূষণ ইত্যদি কারণে ঘটতে পারে।
এমফিসেমার মতো দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিসকে একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা ফুসফুসের তীব্র প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ফুসফুসে আরও কিছু রোগ হয়, যেগুলো ব্রঙ্কাইটিসের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে হাঁপানি, সাইনোসাইটিস, হুপিং কাশি ও যক্ষ্মা।
অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাল সংক্রমণের চিকিৎসায় কোন কাজ করে না। তাই ব্রঙ্কাইটিসের চিকিত্সায় সাধারণত কাশি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং ব্যথা কমানোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা বা টিসিএমে আকুপাংচার ও ভেষজ দিয়ে কোনও রকমের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্রঙ্কাইটিস থেকে মুক্তি মিলতে পারে। টিসিএম ফুসফুসকে আক্রান্ত করে এমন প্যাথোজেন ও ফুসফুসের ব্লকেজগুলো অপসারণ করতে সাহায্য করে। এর ফলে ব্রঙ্কাইটিস দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং সারার পর আবার ফিরে আসে না।