দেহঘড়ি পর্ব-০০৫
#চিকিৎসার_খোঁজ
চীন-জাপান মৈত্রী হাসপাতাল
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর একটি চীন-জাপান মৈত্রী হাসপাতাল। সংক্ষেপে এই হাসপাতালকে চীন-জাপান হাসপাতালও বলা হয়। প্রতিবেশী এ দু’দেশের সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে গত শতাব্দির আশির দশকে এ চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে চালু হয়। বেইজিংয়ের ছাওইয়াং জেলায় অবস্থিত এ হাসপাতালটি সরাসরি চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।
দেড় হাজার শয্যার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২৪ একর জায়গা জুড়ে। এখানে রয়েছে ৫৮টি বিভাগ এবং একটি ক্লিনিকাল গবেষণা ও শিক্ষা কেন্দ্র। হাসপাতালটির অন্যতম বৈশিষ্ট হলো এখানে অসাধারণ সম্মিলন ঘটেছে পূর্ব ও পশ্চিমা চিকিৎসাব্যবস্থার। শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার অন্যন্য মাইলফলক অর্জন করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
বেইজিং ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুল, বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন, চায়না মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এবং থিয়ানচিন মেডিকেল ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি চিকিৎসাশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যুক্ত চীন-জাপান মৈত্রী হাসপাতালের সঙ্গে। চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি এ হাসপাতাল খ্যতি অর্জন করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবেও।
চীন-জাপান হাসপাতালকে ১৯৯৩ সালে একটি সর্বোচ্চ-স্তরের টারশিয়ারি হাসপাতাল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটি বেইজিংয়ের শীর্ষ ১০টি হাসপাতাল এবং চীনের শীর্ষ ১০০ হাসপাতালের একটি। ২০০১ সালে এ হাসপাতালটি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যসেবা হাসপাতালগুলোর একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। এটি পিকিং ইউনিভার্সিটি এবং বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব চাইনিজ মেডিসিনের ইন্টার্নদের জন্য শিক্ষা-হাসপাতাল হিসেবেও কাজ করে।