দেহঘড়ি পর্ব-০০৫
লক্ষণ
ব্যক্তি ভেদে গলস্টোনের উপসর্গ ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
• পেটের উপরের ডান চতুর্ভুজাটিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া। এ ব্যথা নিরবিচ্ছিন হতে পারে কিংবা গিয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারে।
• বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়া, জ্বর ও ঠান্ডা ঘাম দেখা দেওয়া, অঙ্গ শীতল হওয়া, জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেওয়া, প্রস্রাব ও ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও তীব্র পেটে ব্যথা হওয়া, যা ৬ ঘন্টার বেশি স্থায়ী হতে পারে।
• ডান স্ক্যাপুলার অঞ্চল বা কাঁধের অস্থিতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া
• পিত্তথলি সংবেদনশীল হয়ে ওঠা
• খাবার গ্রহণের পর পেটে ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়া
• নিরবিচ্ছিন্ন তীব্র ব্যথা হওয়া, যা ১৫ মিনিট থেকে ৬ ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে।
চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
পিত্তথলির পাথরে দূর করা বা প্রতিরোধ করার জন্য টিসিএমে জন্য বেশ কিছু ভেষজ সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লাইসিমাচিয়া, বাইক্যাল স্কালকাপ শিকড়, ডেইজি ফুল, কমলার খোসা, হানিসাকল ফুল, রুবার্ব রুট বা মূলাজাতীয় সবজি।
টিসিএমে মনে করা হয়, যকৃত ও পিত্তথলির মূল শক্তি ‘ছি’ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এসব ভেষজ পিত্তপ্রবাহ ও রক্তপ্রবাহে ভারমাস্য আনে। যার ফলে একদিকে পেটের ব্যথা উপশম হয় এবং অন্যদিকে পিত্তথলির পাথর জমা প্রতিরোধ হয়। এছাড়া এসব ভেষজ পিত্তথলির ‘ছি’র ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টিকারী তাপ ও ক্লেদ দূর করে।
ডায়েটের মাধ্যমে প্রতিরোধ
• আপনার শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, নিয়মিত সুষম খাবার খান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে, তা প্রকারান্তরে পিত্তথলিতে পাথর জমা প্রতিরোধ করবে।
• চকলেট, রান্না না করা অর্থাৎ কাঁচা খাবার, চর্বিযুক্ত ও অধিক মশলাদার খাবার এবং ঝিনুকের মতো সামুদ্রিক খাবার এড়িয়ে চলুন।
• ধূমপান, সিন্থেটিক ভিটামিন, অ্যালকোহল, কফি এবং উচ্চ মাত্রা খনিজ পদার্থ থাকে এমন কোমল পানীয় পরিহার করুন।