দেহঘড়ি পর্ব-০০৩
মাইগ্রেনের চিকিৎসায় আকুপাংচার ও টিসিএম
টিসিএম তত্ত্বের ভিত্তি হলো ‘ছি’ বা প্রধান জীবনীশক্তি যা মেরিডিয়ান নামক চ্যানেল দিয়ে শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুই ধরনের ‘ছি’র মধ্যে ইয়াং হলো তাপশক্তি আর ইয়িন হলো শীতল শক্তি। ‘ছি’র সঙ্গে রক্তও এই চ্যানেলগুলোর মধ্য দিয়ে চলাচল করে এবং চ্যানেলের অনেকগুলো মাথায় গিয়ে মিলিত হয়। একটি অঙ্গ-ব্যবস্থায় কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও স্থবিরতা অন্যান্য অঙ্গ-ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেনের জন্য লিভার, প্লীহা ও কিডনি ব্যবস্থার স্থবিরতা ও ঘাটতিকে দায়ী বলে মনে করা হয়। এ স্থবিরতার কারণে লিভার থেকে ‘ইয়াং’ শক্তি মাথার দিকে প্রবাহিত হয়। বেশি পরিমাণে ভুল ধরনের খাবারের গ্রহণ এই অঙ্গগুলোতে শ্লেষ্মা তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে অ্যালকোহল ও তীব্র গন্ধ ও স্বাদযুক্ত খাবার অতিরিক্ত তাপশক্তি সৃষ্টি করতে পারে। টিসিএম চিকিত্সায় লিভারের তাপশক্তি কমানো এবং শ্লেষ্মা দূর করতে নির্দিষ্ট আকুপাংচার পয়েন্টে সূচ প্রবেশ এবং ভেষজ ব্যবহার করা হয়।
স্বাভাবিক ব্যথানাশের পাশাপাশি আকুপাংচার মাইগ্রেনের ব্যথা সারাতেও কাজ করে। এছাড়া অঙ্গ-ব্যবস্থার ভারসাম্যহীনতা দূর করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ রোগ থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেনের রোগীরা আকুপাংচার চিকিত্সা নিলে এ রোগের আক্রমণের পৌনঃপুনিকতা ও আক্রান্ত থাকার সময় দুটোই কমে। সেজন্য আকুপাংচারকে মাইগ্রেনের একটি মূল্যবান চিকিত্সা বিকল্প বলে মনে করা হয়।
প্রাকৃতিক প্রতিকার
কতগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং এ রোগ প্রতিরোধও করা যায়। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে মাইগ্রেনের ব্যথা তো বটেই অন্যান্য কিছু গুরুতর মাথাব্যথার উপশম ও প্রতিরোধও সম্ভব। চলুন এমন উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নেই: