দেহঘড়ি পর্ব-০০৩
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে ট্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন বা টিসিএম নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, চীনের হাসপাতাল-পরিচিতি ‘চিকিৎসার খোঁজ’ এবং চীনা জীবনধারা নিয়ে পরামর্শ ‘হেলথ টিপস’।
#ঐতিহ্যবাহী_ চিকিৎসাধারা
মাইগ্রেনের চিকিত্সায় টিসিএম
মাইগ্রেন এমন এক ব্যাধি যার কারণে তীব্র মাথাব্যথা হয়। এই ব্যথা কয়েক ঘন্টা থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে গুরুতরভাবে ব্যহত করে। বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মাইগ্রেনে আক্রান্ত। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মাইগ্রেনের মাথাব্যথার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি। মাইগ্রেনের উপসর্গের মধ্যে থাকে মাথার মধ্যে থরথর করা, স্পন্দন বা ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অধিক সংবেদনশীলতা। মাইগ্রেন কয়েক ঘন্টা বা দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বিকাশ লাভ করে এবং ব্যক্তিভেদে এর উপসর্গ বা অভিজ্ঞতা ভিন্ন হয়।
মাইগ্রেন কেন হয়?
বর্তমান চিকিৎসাতত্ত্বে মাইগ্রেনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয় মস্তিষ্কের কোষে অস্বাভাবিক স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপকে। এটি বংশগত কারণেও হতে পারে। কারণ মাইগ্রেনের সংবেদনশীলতা পরিবার, বিশেষ করে মা থেকে কন্যাদের মধ্যে ছড়ায়। সম্ভবত হরমোনের ওঠানামার কারণে সৃষ্ট রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে, যার ফলে মাথায় চাপ ও কম্পন-যন্ত্রণা বাড়ে এবং স্নায়ুর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। কারপাল টানেল সিন্ড্রোম বা কব্জির স্নায়ুর ওপর চাপের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে মাইগ্রেনের। টিএমজে বা চোয়ালের ব্যাধি এবং মেনিয়ার’স রোগও মাইগ্রেন সৃষ্টি করতে পারে। মেনিয়ার’স রোগ হলো কানের একটি অভ্যন্তরীণ সমস্যা যা মাথা ঘোরা, কানের মধ্যে শব্দ এবং বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। এছাড়া, অক্সিপিটাল স্নায়ু সংকুচিত হওয়ার কারণে সৃষ্ট অক্সিপিটাল নিউরালজিয়াও মাথা ও ঘাড়ের পিছনে মাইগ্রেনের মতো ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।