দেহঘড়ি পর্ব-৯৫
আপেল: চিকিৎসকেরা মিষ্টি জাতীয় সব ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। যেমন আপেল খেতে মিষ্টি হলেও এতে আছে প্রচুর পানি ও ফাইবার। আপেল খেলে তা মুখের ভেতরে লালা সৃষ্টি করে যা ব্যাকটেরিয়া এবং জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করে। এই ফলে থাকা ফাইবার মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে। আপেল খেলে তা আপনাকে দাঁত ব্রাশ করার মতো সুবিধা দিতে পারে না ঠিকই তবে এটি মুখের ভেতরটা সতেজ রাখতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি দাঁত ব্রাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
গাজর: আপেলের মতো গাজরও ফাইবার সমৃদ্ধ। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর কয়েক টুকরা কাঁচা গাজর খেলে তা মুখের ভেতরের লালা বৃদ্ধি করে, যা ক্যাভিটির ঝুঁকি কমায়। ফাইবারের পাশাপাশি এটি ভিটামিন এ- এরও একটি সমৃদ্ধ উৎস। সালাদে গাজর রাখতে পারেন কিংবা কয়েকটি ছোট গাজর চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। - অভি/রহমান
মানবদেহের নীরব ঘাতক ফ্যাটি লিভার
লিভার বা যকৃতে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে সেটাকে ফ্যাটি লিভার বলে। এ সমস্যা শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভারকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। চিকিৎসকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। জানিয়ে দিচ্ছি ফ্যাটি লিভারের উপসর্গগুলো সম্পর্কে:
একটু একটু ব্যাথা, পেট ভারী লাগা
শুরুতে ফ্যাটি লিভারের তেমন কোনও উপসর্গ থাকে না। তবে লিভারে চর্বি বেশি পরিমাণে জমা হলে ধীরে ধীরে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে। পেটের ডান দিকে উপরে যে অংশে ফ্যাটি লিভার থাকে, প্রথমদিকে সেখানে একটু একটু ব্যথা হয় ও পেট একটু ভারী ভারী লাগে।
লিভারে প্রদাহ
ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথমে শুধু লিভারে চর্বি জমা থাকে। অন্য কোনও ইনজুরি হয় না। পরে বেশি চর্বি জমার ফলে লিভারে প্রদাহ শুরু হয়। লিভারে প্রদাহ হওয়ার মানে লিভার ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। যেহেতু লিভার মানবদেহের পাওয়ার হাউস, তাই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের এনার্জি কমে যায়, রোগী দুর্বল হয়ে অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে ওঠে, তার কর্মক্ষমতা কমে যায়, ক্ষুধামন্দা দেখা দেয় এবং ওজন হ্রাস পায়।