দেহঘড়ি পর্ব-৯২
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে স্বাস্থ্যখাতের সুখবর, রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’, এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।
#সুখবর
বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করেছে চীনা যন্ত্রপাতি
বাংলাদেশের অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ বেশিরভাগ চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আসে এবং সেকালেন সেগুলোর দাম অনেক বেড়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশী স্বাস্থ্যসেবা খাত চীন থেকে সাশ্রয়ী মূল্যের সরঞ্জাম আমদানি করে এ খাতে একটি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে।
ওসুল আজম মিঠু চীন থেকে স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম আমদানিকারক ও সরবরাহকারী। গত সপ্তাহে ঢাকায় আয়োজিত এক চিকিৎসা প্রদর্শনীর ফাঁকে তিনি সিনহুয়াকে বলেন, "আমরা খুব কম খরচে খুব ভালো (চীনা) মেশিন দিতে পারি এবং রোগীরা কম খরচে ভালো চিকিৎসা পান।"
মিঠু, যিনি পালস টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বলেন, “চীনা যন্ত্রপাতির মান খুবই ভালো।”
তিনি জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যানালাইজারসহ তার স্টলের ৯৫ শতাংশ যন্ত্রপাতি চীনের তৈরি এবং এগুলো খুব কম খরচে বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।
একটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি "মেডিটেক্স বাংলাদেশ-২০২২" শিরোনামের এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এটি ছিল চিকিৎসা, ক্লিনিক্যাল ও স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী।
মিঠু বলেন, "আমরা যদি জাপানি বা জার্মান যন্ত্রপাতির সাথে তুলনা করি, তাহলে দেখবো চীনের যন্ত্রপাতির দাম অনেক কম। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, একটি চীনা মেশিনের দাম যদি এক লাখ টাকা হয়, তবে জার্মান মেশিনের দাম পড়বে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু আমাদের এক লাখ টাকার পণ্যের গুণমান ও কার্যকারিতা জাপানি বা জার্মানির মেশিনের মতোই।"