দেহঘড়ি পর্ব-৮৮
উদ্ভিজ আমিষ: লিভার সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি জরুরি সঠিক খাবার বেছে নেওয়া। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ডাল, সবুজ শাক-সব্জি, বাদাম ও আঁশযুক্ত খাবার রাখুন। কারণ লিভারের জন্য প্রাণীজ আমিষের চেয়ে ভাল উদ্ভিজ আমিষ।
স্বাস্থ্যকর চর্বি: চর্বি বা ফ্যাট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে ডায়েট থেকে চর্বি একেবারে বাদ দিয়ে দিবেন না। বরং অলিভ ও ওয়ালনাটের মতো খাবার খান, যেগুলোতে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে।
ওষুধ: বেশ কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি পেইনকিলার বা ব্যাথানাশক ওষুধ, যেমন টাইলেনল বা কোলেস্টেরলের ওষুধ। এসব ওষুধ থেকে দূরে থাকতে হবে।
মদ: লিভারের রোগ থেকে বাঁচতে হলে অতিরিক্ত মদ পান এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত মদ্যপানে লিভারে চর্বি জমে, প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে লিভারের ক্ষত শুকিয়ে গুটি গুটি ফাইব্রোসিস এবং শেষ পর্যন্ত লিভার সিরোসিস হয়। পশ্চিমা জগতে লিভারের রোগসমূহের মধ্যে মদ্যপানজনিত লিভারের রোগই প্রধান।
চিনি: চিনি শরীরের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশি চিনি খেলে লিভারের রোগ তৈরি হতে পারে। চিনির গ্লুকোজ শরীর শোষণ করে নেয়। পরিশোধিত চিনিতে ফ্রুকটোজ বেশি পরিমাণে থাকে। ফ্রুকটোজকে পরিশোধিত করে একমাত্র লিভার। লিভারে গিয়ে এই ফ্রুকটোজ চর্বিতে পরিণত হয়। এতে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তেল ও মশলা: অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার ফ্যাটি লিভার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে কিংবা এ সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই লিভার সুস্থ্ রাখতে এ ধরনের খাদ্য যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা উচিৎ।
সাপ্লিমেন্ট: অনেকেই সাপ্লিমেন্ট বা সম্পূরক খাদ্য গ্রহণ করেন। যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে, তারা সাপ্লিমেন্ট নির্বাচনের সময় সতর্ক থাকুন। এমন সাপ্লিমেন্ট বেছে নিন যা লিভারকে পরিস্কার করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি এ ধরনের সাপ্লিমেন্ট। এছাড়া প্রোটিনের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিডও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।