দেহঘড়ি পর্ব-৮৪
কোকরেন ইন্সটিটিউট প্রকাশিত বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রমাণিত হয়েছে যে, আকুপাংচার হলো উদ্বেগজনিত মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের মাথাব্যথা প্রতিরোধ ও উপশমের একটি কার্যকর চিকিৎসা। ফলাফলে দেখা যায়, আকুপাংচার চিকিৎসা নেনটি এমন রোগীদের তুলনায় এ চিকিৎসাগ্রহণকারী রোগীদের মাথাব্যথা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ চিকিৎসার ফলও দীর্ঘমেয়াদী ছিল; অর্থাৎ চিকিৎসা চক্রের পরেও কয়েক মাস স্থায়ী ছিল।
আকুপাংচার চিকিৎসা ছাড়াও টিসিএম বিশেষজ্ঞরা ভেষজ গ্রহণ সম্পর্কিত একটি সুপারিশ করে যা রোগীর নির্দিষ্ট সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে পারে। সুপারিশ মতো ভেষজ ব্যবহার করলে সেগুলো শরীরের ‘ছি’ বা শক্তি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে; শরীরে ইয়িন বা শীতল শক্তি এবং ইয়াং বা উষ্ণ শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে; বাধা পরিষ্কার করে এবং স্থবিরতা দূর করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেষজগুলোর নিয়মিত ব্যবহার মাথাব্যথাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মাথাব্যথা প্রতিরোধের জন্য আটটি স্বযত্ন
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মাথাব্যথার পৌনঃপুন্য ও তীব্রতা প্রতিরোধ বা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার মাথাব্যথা অতিক্রম করার জন্য আপনি কী করতে পারেন তার উপর ফোকাস করুন।
পুষ্টি: রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে নিয়মিত প্রতি ৩ ঘন্টা বা তার কিছু বেশি সময় পরপর খাবার বা স্ন্যাকস খান। এমন খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন, যা মাথাব্যথাকে আরও জাগিয়ে তুলতে পারে। যেমন প্রক্রিয়াজাত মাংস, বেশি পুরনো পনির, অ্যালকোহল ও অ্যাসপার্টাম দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাদ্য। ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথার একটি সাধারণ কারণ। অন্যান্য তরল ছাড়াও সারা দিন প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে ভুলবেন না।
ঘুম: ঘুমের একটি সময়সূচি ঠিক করুন এবং সেটা বজায় রাখুন। সপ্তাহান্তে ও অন্যান্য ছুটিসহ প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে ঘুমোতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। ঘুমের চাহিদা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। আপনার জন্য কতটা সর্বোত্তম তা খুঁজে বের করুন এবং তারপর সেটা পুরণ করার চেষ্টা করুন।