দেহঘড়ি পর্ব-৮৪
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ‘সুস্বাস্থ্যের জন্য’।
# ঐতিহ্যবাহী_চিকিৎসাধারা
মাথাব্যথার চিকিৎসায় আকুপাংচার ও টিসিএম
মাথাব্যথা অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা। প্রত্যেক মানুষেরই মাঝে মাঝে মাথাব্যথা হয়। কিন্তু অনেকে দীর্ঘস্থায়ী ও গুরুতর মাথাব্যথা অনুভব করে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে। আকুপাংচার ও ঐতিহ্যবাহী চীন ওষুধ বা টিসিএমের সাহায্যে মাথাব্যথার মূল কারণ পর্যন্ত পৌঁছানো এবং সেটা দূর করা সম্ভব হয়। টিসিএম ব্যবহার করলে ব্যথার ওষুধের উপর নির্ভর করার প্রয়োজন পড়ে না। ব্যথার ওষুধ রোগটি পুরোপুরি সারিয়ে তোলেতো না-ই; উপরোন্ত নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথার প্রকোপের হার নির্ণয় করার জন্য চালানো প্রথম মার্কিন সমীক্ষায় দেখা যায়, সাধারণ মানুষের প্রায় ৪ শতাংশ দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথায় ভোগে। এরা বছরের প্রায় ১৮০ দিন মাথাব্যথা অনুভব করে। জরিপকৃতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের উদ্বেগজনিত মাথাব্যথার কথা জানায় আর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মাইগ্রেনের মাথাব্যাথার অভিজ্ঞতার কথা জানায়।
বর্তমানে আকুপাংচার ক্লিনিকগুলোতে যেসব সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসে, তার মধ্যে অন্যতম মাথাব্যাথা। আকুপাংচার ব্যবহার করে টিসিএম বিশেষজ্ঞরা মাথাব্যথা উপশম করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাথাব্যথা উপশমে সাধারণ ওষুধ ব্যবহার করলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, সেটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
আকুপাংচারের মাধ্যমে যেসব মাথাব্যথার চিকিৎসা করা যায়, তার মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেন, উদ্বেগজনিত মাথাব্যথা, মাসিক ঋতুচক্রের সময় দেখা দেওয়া মাথাব্যথা, সাইনাসের মাথাব্যথা এবং মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথা।