দেহঘড়ি পর্ব-৮৩
অস্বাস্থ্যকর হলুদ ত্বক: ত্বক অস্বাস্থ্যকর হলুদ দেখালে ধরে নেওয়া হয় ব্যক্তির প্লীহার কার্যক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে, যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা থাকে।
রক্তবর্ণ ত্বক: ত্বক অতিরিক্ত রক্তিমভাব দেখালে মনে করা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক তাপ বেশি।
ত্বকে কালো দাগ: কারোর ত্বকে কালো দাগ থাকলে ধরে বোঝা যায় তার কিডনির কার্যক্ষমতায় ঘাটতি রয়েছে এবং রক্ত চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য টিসিএম
অনেক টিসিএম ভেষজ রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন অঙ্গের ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে এবং ত্বকের সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় সহায়তা করে। আজ আমরা আলোচনা করবো সেরা সৌন্দর্য-বর্ধক টিসিএম ভেষজগুলো নিয়ে:
জিনসেং
সবচেয়ে জনপ্রিয় টিসিএম ভেষজ জিনসেংয়ের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে এবং আধুনিক স্কিনকেয়ার পণ্যগুলোতেও এই ভেষজটি ব্যবহার করা হয়। জিনসেং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে, অতিবেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে বাঁচায় এবং কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। এ কারণে এ ভেষজ বার্ধক্যজনিত লক্ষণ কমাতে ব্যবহৃত হয়। জিনসেং দিয়ে পানীয় বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে বা ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
চাইনিজ উলফবেরি বা গোজি বেরি
চাইনিজ উলফবেরি টিসিএম ভেষজগুলোর মধ্যে অন্যতম। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই ছোট বেরি লিভার ও কিডনিকে পুষ্ট করে, সেইসাথে শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। চাইনিজ উলফবেরি সূর্যের ক্ষতি প্রতিরোধে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে রয়েছে জিঙ্ক অক্সাইড, যা সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মিকে আটকাতে সানস্ক্রিনে ব্যবহার করা হয়। এগুলো কোলাজেন ও ইলাস্টিন উৎপাদনও বাড়ায়, যার ফলে ত্বকের রঙ উন্নত হয়।
গ্রিন টি বা সবুজ চা
ভেষজ গ্রিন টি হাজার হাজার বছর ধরে টিসিএম-এ ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ভেষজগুলির একটি। এতে প্রচুর পরিমাণে বায়োফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যাটেচিন থাকে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং অসমতা দূর করে।