দেহঘড়ি পর্ব-৮৩
‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে থাকছে রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে চীনা চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা ‘ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাধারা’, সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভুবনে বাস’।
ত্বকের চিকিৎসায় টিসিএম
যখন শরীরের শক্তি ভারসাম্যপূর্ণ থাকে, তখন শরীরে কোনও দাগ পড়ে না এবং ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসাব্যবস্থায় এমনটিই মনে করা হয়। এ চিকিৎসাব্যবস্থার দর্শন হলো স্বাস্থ্যের ভালো-মন্দ ঠিক হয় ভিতর থেকে এবং শরীর অভ্যরের স্বাস্থ্য বাইরেও প্রতিফলিত হয়।
ত্বকের রং ও ভারসাম্যহীনতা
ঐতিহ্যবাহী চীনা ওধুষ বা চিকিৎসাব্যবস্থায় বিশ্বাস করা হয়, ত্বক হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও প্লীহার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। প্লীহা হলো রক্ত ও ‘ছি’ বা শক্তির উৎস। পুরো শরীরে রক্ত পাম্প করে হৃৎপিণ্ড আর ত্বকে রক্ত ও তরল সঞ্চালন করে ফুসফুস। যখন এই অঙ্গগুলো ভালোভাবে কাজ করে, তখন ত্বকের রঙ উজ্জ্বল থাকে। এসব অঙ্গে কর্মহীনতা দেখা দিলে ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, একজিমা ও সোরিয়াসিস দেখা দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, যখন ফুসফুস ভারসাম্যহীন হয়, তখন ত্বক চুলকায় ও খসখসে হয়ে যায়। মানসিক চাপে থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে হৃদযন্ত্রের ওপর এবং কপাল বা নাকে ব্রণ বাড়ে। প্লীহায় ভারসাম্যহীনতার দেখা দিলে শরীরে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও তাপ জমা হতে পারে, যার ফলে সিবাম উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং পিম্পল ও একজিমা দেখা দেয়। প্লীহা সুস্থ থাকলে সেটা শরীর থেকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দূর করে।
এখন আমরা দেখবো টিসিএম’এ ত্বকের কোন কোন অবস্থার জন্য কোন কোন বিষয়কে দায়ী মনে করা হয়:
ফ্যাকাশে চেহারা: কারো চেহারায় ফ্যাকাশে বা ক্লান্তিভাব থাকলে মনে করা হয় তার রক্ত চলাচলে সমস্যা রয়েছে। এমন ব্যক্তি প্রায়ই আলস্য বোধ করতে পারেন।