দেহঘড়ি পর্ব-৭৪
আজ আমরা আলোচনা করবো ডিমেনশার উপসর্গ নিয়ে। এসব উপসর্গ যদি কারও মধ্যে প্রকাশ পেতে থাকে তবে ধরে নিতে হবে তিনি স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশাতে আক্রান্ত হতে চলেছেন।
ভুলে যাওয়া
ডা. কারি উইনচেল জানান, ডিমেনশা রোগীদের নিউরন ধ্বংস হয়ে যায়, যে কারণে মস্তিষ্কে সংরক্ষিত তথ্য সঠিক সময়ে কাজে লাগানো যায় না। এর ফলে পূর্ব পরিচিত স্থান, ব্যক্তি, ঘটনা ইত্যাদি মনে করতে সমস্যা হয়।
কথা বলায় সমস্যা
কথার খেই হারিয়ে ফেলা কিংবা মনের কথা ব্যক্ত করার শব্দ খুঁজে না পাওয়া ইত্যাদি ডিমেনশা রোগের অন্যতম লক্ষণ। মস্তিষ্কের ‘হিপোক্যাম্পাস’ আর ‘এন্টোরহিনাল’ অংশে এই তথ্যগুলো সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু নিউরন নষ্ট হয়ে যাওয়া কারণে তথ্য প্রবাহ ব্যহত হয়। ফলে শব্দ মনে পড়ে না।
সাধারণ কাজ করতে সময় লাগা
দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ যে কাজগুলো একসময় অনায়াসে করা যেত, ডিমেনশাতে আক্রান্ত হলে সেই কাজ করতে অনেক সময় লোগে। কারণ ওই কাজ সম্পন্ন করার জন্য নিউরন পেশিতে যে সংকেত পাঠাত তা এখন আর আগের মতো করে পাঠাতে পারে না।
সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা
ডিমেনশা যদি কারও ‘সেরেব্রাল করটেক্সে’ আক্রমণ করে তবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে নষ্ট করতে পারে। যে কোনও কাজ করার আগে একটু ভাবা প্রতিটি মানুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু ডিমেনশা মস্তিষ্কের ওই বিশেষ অংশে আক্রমণ করলে মানুষ কোনো কাজ করার আগে ভেবে করব, নাকি না ভেবে করব - সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাই ভুলে যায়, হুট করে কিছু ঘটিয়ে বসে।
মানুষেকে পাত্তা না দেওয়া
ডা. উইনচেল বলেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ তার নিজের কোনও কথায় সামনের মানুষটা কী মনে করলো তার ধার ধারে না। ফলে আশপাশের মানুষ বিশেষ করে পরিবার বা কাছের লোকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। - রহমান
## আপনার ডাক্তার