দেহঘড়ি পর্ব-৬৭
#কী_খাবো_কী_খাবোনা
কিশমিশের আছে নানা গুণ
ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কিশমিশ। পোলাও, পায়েস, সেমাইসহ বিভিন্ন রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে ঈদের রান্নায় কিশমিশের ব্যবহার হয় বেশ। কিশমিশ দিলে যে কোনও খাবারের স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য সচেতনদের অনেকেই কিশমিশ ভেজানো পানি পান করে থাকেন। এ ছাড়া চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো খাবারগুলো চিবিয়ে খাওয়ার সময় স্বাদ বৃদ্ধি করতে সেগুলোর সঙ্গে কিশমিশ মিশিয়ে খাওয়া যায়। কিশমিশ সবাই খেলেও এর স্বাস্থ্য-উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন রোগে দূর করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে এ শুকনো ফল। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিশমিশ খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে:
হজমে সাহায্য করে
প্রতিদিন কয়েকটি কিশমিশ খেলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিশমিশে ফাইবার থাকে, যা পানির উপস্থিতিতে ফুলে ওঠে। আর এগুলো পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতিদিন কিশমিশ খেলে তা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়মিত রাখে এবং এতে থাকা ফাইবারগুলো বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
মানবদেহে যে ফ্রি-র্যা ডিক্যাল সৃষ্টি হয় তা থেকেই হতে পারে টিউমার ও ক্যান্সারের মতো রোগ। কিশমিশ শরীরকে বাঁচাতে পারে বিপজ্জনক ফ্রি-র্যা ডিক্যাল থেকে। এ শুকনো ফলে থাকা ক্যাটেচিং নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ফ্রি-র্যা ডিক্যাল বের করে দেয়।
সংক্রমণ সারে
কিশমিশে থাকে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যেটি আসলে প্রদাহ-বিরোধী একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জ্বর কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এ জন্য দিনে কয়েকটি কিশমিশ খেলে ঠাণ্ডা ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করা যায়।