দেহঘড়ি পর্ব-৬৩
এ পর্বে আজ আমরা আলোচনা করেছি নিউমোনিয়া নিয়ে। বাংলাদেশে নিউমোনিয়া শিশুমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ। পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়, তাদের ১৩ শতাংশই মৃত্যবরণ করে এ রোগের কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকজুড়ে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে। গবেষকরা বলছেন, নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সেবা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় জোরদার করার মাধ্যমে বছরে আনুমানিক ৪৮ হাজার শিশুর মৃত্যু এড়ানো যেতে পারে। তাদের মতে, নিউমোনিয়া মোকাবিলায় প্রচেষ্টা জোরদার করা হলে তা এর বাইরে একটি ‘রিপল ইফেক্ট’ তৈরি করতে পারে, যা একই সঙ্গে অন্যান্য বড় ধরনের শৈশবকালীন রোগে আরও ৯২ হাজার শিশুর মৃত্যু ঠেকাতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণে নিউমোনিয়া হয় এবং এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের ফুসফুস পুঁজ ও তরলের ভরে যায়, যার কারণে তাদের নিঃশ্বাস নিতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টিকার মাধ্যমে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ এবং স্বল্প-মূল্যের অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে সহজেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে এক বছরের কম বয়সী অনেক শিশুকে টিকা দেওয়া হয়নি এবং এই রোগের লক্ষণে ভোগা সত্ত্বেও অর্ধেকের বেশি সংখ্যক শিশু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায় না। নিউমোনিয়ায় নানা দিক নিয়ে কথা বলতে আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ডাক্তার নাজমুস সাকিব। তিনি কর্মরত চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত পিকিং ইউনিভার্সিটি ফার্স্ট হসপিটালে, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবিবুর রহমান অভি।
#ভুলের_ভুবনে_বাস
এইচআইভি মানেই আর মৃত্যু পরোয়ানা নয়
এইডস একটি ঘাতকব্যাধি। এইচআইভি ভাইরাস থেকে এ রোগ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, আশির দশকে এইডস মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৭ কোটি ৯৩ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩ কোটি ৬৩ লাখ মানুষ এতে মারা গেছে। ২০২০ সালের শেষ দিকে গোটা বিশ্বে ৩ কোটি ৭৭ লাখ মানুষ এইচআইভি নিয়ে বসবাস করছিল। পনের থেকে ৪৯ বছর বয়সী মানুষেদের মধ্যে আনুমানিক শূন্য দশমিক ৭ এইচআইভি নিয়ে বসবাস করছে। বিগত কয়েক দশকে এইচআইভি ও এইডস সম্পর্কে কতগুলো ভুল ধারণা কখনও কখনও এমন আচরণ করতে মানুষেকে প্রভাবিত করেছে যার কারণেও অনেক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আজ আমরা আলোচনা করবো এম কতগুলো ভুল ধারণা সম্পর্ক। এ প্রতিবেদনের জন্য তথ্য নেওয়া হয়েছে ওয়েবএমডি ডটকমের (www.webmd.com) একটি রিপোর্ট থেকে, যেটি পর্যালোচনা করেছেন হেলথ অ্যান্ড লাইফস্টাইল মেডিসিনের চিফ ফিজিশিয়ান এডিটর চিকিৎসক নেহা পাঠক।