দেহঘড়ি পর্ব-৫৬
পুষ্টিকর খাবার খান: মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবারের বিকল্প নেই। তাই সময়মতো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এতে শরীর ও মস্তিষ্কে জরুরি পুষ্টি পৌঁছাবে। ফলে অবসাদ সহজে কাবু করতে পারবে না আপনাকে।
ঘুমান পর্যাপ্ত পরিমাণ: দেহ-মনকে শান্ত ও শিথিল রাখতে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন। আর তার জন্য ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। তাই যতটা ঘুমালে ভালো লাগে, প্রশান্তি বোধ হয় ততটা ঘুমিয়ে নিতে হবে এবং রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
নেতিবাচক কথা বন্ধ করুন: অবসাদে ভোগা মানুষ নিজের চারপাশে সবসময় হতাশা দেখেন। কথাবার্তায় ফুটে ওঠে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা। নিজের সম্পর্কে সংশয়ে ভোগেন এবং নিজেকে মূল্যহীন ভাবেন তারা। এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা অবসাদগ্রস্ত মানুষকে কোনওভাবে সাহায্য তো করেই না, বরং ঠেলে দেয় আরও গভীর অবসাদের দিকে। অবসাদ থেকে বাঁচতে এমন নেতিবাচক চিন্তা ও কথাবার্তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করুন: অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ভাবা, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিন্তা করা এবং ক্ষোভ পোষণ করা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। এইসব ক্ষোভ ও চিন্তাই মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। এরাই অবসাদের গভীরে নিয়ে যায়। বই পড়ে সময় কাটালে অবসাদ থেকে দূরে থাকা যায়।
শরীরচর্চা করুন: অবসাদে ভুগলে মস্তিষ্কে কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ হয়। এই ‘স্ট্রেস হরমোন’ কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং নিজেকে সচল রাখুন। এতে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাবে; অবসাদ কমে যাবে অনেকটাই। এছাড়া শরীরচর্চার ফলে শরীর থেকে এনডোরফিন বেরিয়ে যায়। ফলে মন ভাল থাকে। শরীরচর্চা মন ভাল রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখা, রোগভোগ প্রতিরোধ করা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রত্যেক সক্ষম মানুষের প্রতিদিন আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিৎ।