দেহঘড়ি পর্ব-৫৩
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মৃত ৭৯ জনের মধ্যে মাত্র ২৮ জন (৩৫.৪ শতাংশ) করোনার টিকা নিয়েছিলেন। এই ২৮ জনের মধ্যে ছয়জন প্রথম ডোজ এবং ২২ জন দুই ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। অবশিষ্ট ৫১ জনই (৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ) করোনার টিকার কোনো ডোজই গ্রহণ করেননি।
আরও বলা হয়েছে, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও কিডনি রোগসহ কোনো না কোনো ধরনের দুরারোগ্য অসংক্রামক ব্যাধিতে (কোমরবিড) আক্রান্ত ৫২ জন। তাদের শতকরা হার ৬৫.৮।
ওমিক্রনরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন গাইডলাইন
ওমিক্রনরোধে নতুন ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে দেশের সব হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ গাইডলাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত এক ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এই ওমিক্রনের কারণেই দেশে সংক্রমণ এতটা বেড়ে গেছে।
দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ
দেশে ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর জন্য অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) দায়ী বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উদ্বেগের কারণ হচ্ছে অসংক্রামক রোগ। গত বুধবার প্রথম জাতীয় এনসিডি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে, ১০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ ক্যানসারে ভুগছে। প্রতি বছর নতুন করে আরও ৫০ হাজার যোগ হয় এ সংখ্যায়।
কারণ প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, জীবন যাত্রার পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, স্থুলতা, তামাকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, অপর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম এবং ওষুধের অপব্যবহারের কারণে এনসিডি বাড়ছে। এ অবস্থায় এনসিডি প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।