চীনের ‘কম উচ্চতা অর্থনীতি’ প্রসঙ্গ
ঘুম থেকে উঠে উড়ন্ত ট্যাক্সিতে চড়ে সরাসরি বাড়ি থেকে অফিসে যাওয়া। ড্রোনের মাধ্যমে টেক আউট পরিবহন করা। গরম বাতাসের বেলুনে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা। এ সবই সাধারণ জীবনে ‘কম উচ্চতা অর্থনীতি’ র প্রয়োগ।
ভূমি থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ মিটার উপর দিয়ে ড্রোন বা উড়ন্ত বাহনের মাধ্যমে মালামাল ও মানুষ পরিবহনের অর্থনীতিই ‘কম উচ্চতা অর্থনীতি’। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চীন এই ধরণের অর্থনীতিসংশ্লিষ্ট উত্পাদন শিল্পের জন্য নীতিমালা চালু করেছে। চীনের ‘কম উচ্চতা অর্থনীতি’ শিল্প অন্বেষণ থেকে দ্রুত উন্নয়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
২০২৪ সালে চীনের কম উচ্চতার অর্থনীতি সরকারি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ‘কম উচ্চতা অর্থনীতি’র প্রয়োগে বুদ্ধিমান শহরের নির্মাণ ও বুদ্ধিমান পরিবহনব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে; এমনকি, নিত্যদিনের জীবনেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। শাংহাই পর্যটকরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে হুয়াংফু নদী ও শাংহাইয়ের বাণিজ্যকেন্দ্র লুচিয়াচিয়ুর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারছেন।
নিউস্কাই হেলিকপ্টার কোম্পানির ক্যাপ্টেন ওয়াংলিং বলেন,
“এটি শাংহাই হুয়াংফু নদীর উপরে কম উচ্চতা সাংস্কৃতিক পর্যটন প্রকল্প। এই রুটের শুরু লুংহুয়া বিমানবন্দর। এর মোট দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। মোট সময় লাগে ১০ মিনিট। আমরা আকাশ থেকে ওরিয়েন্টাল পার্ল টিভি টাওয়ারসহ শাংহাইয়ের তিনটি ল্যান্ডমার্ক ভবন দেখতে পারি।”
‘কম উচ্চতা অর্থনীতি’-সংশ্লিষ্ট বিমানগুলোর মধ্যে, ড্রোন চীনে প্রধান স্থানে রয়েছে। চীনের ড্রোনশিল্পের মান বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে। চীনের বেসামরিক ড্রোন বিশ্ববাজারের ৭০ শতাংশ দখল করে আছে। এখন পর্যন্ত চীন মোট ২০টি বেসামরিক মানববিহীন বিমান চালনার বেস টেস্ট এলাকার নাম প্রকাশ করেছে।