একাদশ বেইজিং সিয়াংশান ফোরাম
সেপ্টেম্বর ১৬: সম্প্রতি সিয়াংশান নিরাপত্তা ফোরাম বেইজিংয়ে আয়োজিত হয়। ফোরামের মূল প্রতিপাদ্য ছিল: ‘যৌথভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যত উপভোগ করা’ প্রসঙ্গে হয়। চলতি বছর ফোরামে অংশগ্রহণকারী দেশ ও অতিথির সংখ্যা ছিল রেকর্ডসংখ্যক। শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ৫ শতাধিক প্রতিনিধি এবারের ফোরামে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক পর্যায়ের প্রতিনিধি ছিলেন ৩০ জনেরও বেশি।
ফোরামে সহযোগিতার মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করা, বহুমেরুর শৃঙ্খলা গড়ে তোলা, ভূ-নিরাপত্তায় বৈশ্বিক দক্ষিণের ভূমিকা, এবং নিরাপত্তা প্রশাসনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ২০০৬ সালে প্রথম সিয়াংশান ফোরাম আয়োজিত হয়েছিল। তখন মাত্র ডজন খানেক দেশের গবেষণা সংস্থা, চীনে নিযুক্ত মিলিটারি অ্যাটাশে, এবং চীনের সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এবারের ফোরামে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেন ও ইসরায়েলসহ শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এদিকে, বেইজিং সিয়াংশান ফোরামকে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলোর মধ্যে মূল ‘ট্র্যাক টু’ একাডেমিক বিনিময় থেকে উর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও পণ্ডিতদের মধ্যে ‘ট্র্যাক ওয়ান অ্যান্ড এ হাফ’ উচ্চ-স্তরের সংলাপে উন্নীত করা হয়েছে।
শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী তং চুন অংশগ্রহণ করেন এবং ভাষণ দেন। তিনি বলেন, একটি অভিন্ন নিরাপত্তার সমাজে আমাদেরকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে, এবং ঐক্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। অশান্তি ও বিরোধের মুখে, আমাদেরকে রাজনৈতিক সমাধানের ওপর আস্থা জোরদার করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য ও ন্যায্য অবস্থানে উপসর্গ ও মূল কারণ—উভয়ের চিকিত্সার ধারণা প্রতিষ্ঠা এবং যৌথভাবে সুশৃঙ্খল বিশ্বের জন্য কাজ করে যেতে হবে।