একাদশ বেইজিং সিয়াংশান ফোরাম
সবাই বলে বিশ্বের শান্তির জন্য এই ফোরাম। তবে, পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্যোগে আয়োজিত ফোরামগুলো দ্বন্দ্বমূলক হট স্পট তৈরির ওপর বেশি ফোকাস করে। চীনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব নিরাপত্তা প্রস্তাব’ আসলে শুধু আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য নয়, এ ধারণা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য। আমরা অভিন্ন, বহুমুখী, সহযোগিতামূলক ও টেকসই নিরাপত্তার ধারণায় বিশ্বাস করি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখন্ডের অখন্ডার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। অন্য দেশের নিরাপত্তাহীনতার বিনিময়ে নিজের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ধারণারও বিরোধিতা করা হয়েছে প্রস্তাবে। সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে দেশের সাথে দেশের মতভেদ দূর করাও ওপর প্রস্তাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একপক্ষবাদের বিরোধিতাও করা হয়েছে। যৌথভাবে আঞ্চলিক মতভেদ, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ুর পরিবর্তন, ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ও জৈব নিরাপত্তাসহ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলার প্রস্তাব করা হয়েছে এতে।
এবারের ফোরামে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন। ফোরামে আরব বিশ্বের কন্ঠ শোনা গেছে; আবার ইসরায়েলের প্রতিনিধিরাও নিজেদের মতামত প্রকাশ করেছেন। সিয়াংশান ফোরাম হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম। বর্তমান বিশ্ব শান্ত ও স্থিতিশীল নয়। একটি স্থায়ী শান্তি ও সাধারণ নিরাপত্তার বিশ্ব গড়ে তোলা হলো সারা বিশ্বের জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশ্যা ও দায়িত্ব। সিয়াংশান ফোরাম ঠিকই শান্তি বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা যায়।