বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায় রচিত হবে
পর্যটন আরেকটি মূল উপাদান। পর্যটনের প্রচার জোরদার করা, ভিসা পদ্ধতি সহজীকরণ এবং অন্যান্য সহযোগিতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও বেশি আদান-প্রদান হবে। ১৫ জুলাই বেইজিং থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট চালু করা হবে। দুই দেশের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে ৮০টি ফ্লাইট যাতায়াত করবে, যার ধারণক্ষমতা ১৫ হাজারের বেশি। যা কর্মী বিনিময় আরও বৃদ্ধি করবে এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক বিনিয়োগকে উত্সাহিত করবে। টানা দুই বছর ধরে বাংলাদেশের সংস্থা দ্বারা পরিচালিত "চীনের ন্যাশনাল ইমেজ ইন বাংলাদেশ" জনমত জরিপ অনুসারে, ৯০ শতাংশের বেশি উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন, যে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি ভালো, এবং বাংলাদেশের জনগণের চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলে রয়েছে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব। গত বছর আন্তর্জাতিক শিশু দিবসের আগে, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীনকে একটি জবাবি চিঠি লিখেছিলেন। তাকে কঠোর পড়াশোনা করতে, তার স্বপ্নগুলি অনুসরণ করতে এবং চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের উত্তরাধিকারী হতে উত্সাহ দিয়েছিলেন। আলিফা চীনের গল্পটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের প্রতিকৃতি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক চীন সফর দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। এই সফর দীর্ঘস্থায়ী সংযোগ গড়ে তুলবে, পারস্পরিক সম্মান বৃদ্ধি করবে এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ভাগাভাগির উপলব্ধি প্রচার করবে। উভয় পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায়, এই নতুন অধ্যায়টি দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে আনবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অব্যাহত উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।