বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায় রচিত হবে
দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থায়ী সাংস্কৃতিক বিনিময় দীর্ঘস্থায়ী আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বের প্রচারে এই ধরনের মিথস্ক্রিয়াগুলির গুরুত্ব তুলে ধরে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ এবং চীন-বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর এই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করেছে। তবে, এটি স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই বিনিময়গুলি অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়াকে আরও বড় করার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রভাবশালী।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করে এবং তারপর থেকে তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা দুই দেশকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু হয়ে উঠেছে এবং দুই দেশ এখন একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব উপভোগ করছে। দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যৌথ উদ্যোগ, সংযোগ প্রকল্প এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রতিশ্রুতি ২০০৫, ২০১০, ২০১৪ এবং ২০১৬ সাল-সহ বেশ কয়েকটি যৌথ বিবৃতিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
বাংলাদেশ চীনা সংস্কৃতিকে খুব সম্মান করে ও প্রশংসা করে এবং কনফুসিয়ানিজম, ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ, খেলাধুলা, খাদ্য এবং শাস্ত্রীয় সাহিত্যের মতো ঐতিহ্যবাহী উপাদানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। চীনের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া জোরদার হওয়ার সাথে সাথে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সমসাময়িক শিল্প সহ চীনের আধুনিক সংস্কৃতিও বাংলাদেশে প্রবল আগ্রহ জাগিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ চীনের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় আরও জোরদার করা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং অভিন্ন উন্নয়নের প্রসার আশা করে।
সাংস্কৃতিক বিনিময় ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চীনের প্রস্তাবিত "বৈশ্বিক সভ্যতা উদ্যোগ" এর প্রতিক্রিয়ায়, এই বিনিময়গুলি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও সহযোগিতা ব্যাপকভাবে উন্নীত করতে পারে।