বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর: বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায় রচিত হবে
২০২৩ সালের ১৫ মার্চ, সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং বিশ্ব রাজনৈতিক পার্টিগুলির মধ্যে উচ্চ-স্তরের সংলাপে "বিশ্ব সভ্যতা উদ্যোগ" প্রস্তাব করেছিলেন। এটি হল "বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ" এবং "বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ" এরপর নতুন যুগে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চীনের আরেকটি বড় অবদান। উদ্যোগটি প্রস্তাবনার পর থেকে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
এবার প্রধানমন্ত্রী হাসিনা’র সফর দুই দেশের জন্য একে অপরের কাছ থেকে শেখার একটি চমত্কার সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে এবং আরও আন্তঃসংযুক্ত ও সুরেলা বিশ্ব সমাজ গঠনে অবদান রেখেছে।
শিক্ষাখাতে বর্তমানে চীনে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। দু’টি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এবং একটি কনফুসিয়াস ক্লাসরুম গত বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজার মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে। বাংলাদেশ জুড়ে চীনা ভাষা শেখা খুব জনপ্রিয় রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না রিসার্চ সেন্টার দুই দেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং একাডেমিক সার্কেলের মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি নতুন এবং বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। এই সফরের পর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা চীনে পড়ার জন্য আরও বেশি বৃত্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চীনা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের অনন্য শিক্ষাব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বোঝার আরও সুযোগ পাবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, চীন ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে, এবং আরও বেশি সংখ্যক যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচী শুরু হবে।
সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান নিশ্চয়ই আরও বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে শিল্প, সাহিত্য ও সঙ্গীতে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, সঙ্গীত এবং সাহিত্যকর্ম সহ বাংলাদেশের অনন্য শৈল্পিক অভিব্যক্তিগুলি চীনে আরও বেশি প্রদর্শন করা হবে, যা তার অনন্য আকর্ষণে চীনা দর্শকদের আকর্ষণ করবে। একইভাবে, চীনা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেমন পিকিং অপেরা, ক্যালিগ্রাফি এবং মার্শাল আর্টও বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কাঠামোকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।