এশিয়া-প্যাসিফিক উন্নয়নের পরবর্তী "সুবর্ণ ত্রিশ বছর"
নভেম্বর ২০: সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিস্কো সফর করেন এবং সেখানে এপেকের অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
এপেক প্রতিষ্ঠার পর বিগত ৩০ বছরে, সংস্থাটি এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলকে বিশ্বের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র এবং বিশ্বের উন্নয়ন ও সহযোগিতার হাইল্যান্ডে পরিণত করেছে। এপেক ‘এশিয়া ও প্যাসিফিক মিরাকল’ সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর এবারের সফর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নে নতুন শক্তি যোগাবে কি?
এপেক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় সি চিন পিং সরাসরি এশিয়া-প্যা
সিফিক উন্নয়নের যুগের প্রশ্ন উত্থাপন করেন: এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আমরা কী ধরনের এশিয়া-প্যাসিফিক দেখতে চাই? কিভাবে এশিয়া-প্যাসিফিক উন্নয়নের পরবর্তী "সুবর্ণ ত্রিশ বছর" সৃষ্টি করা যাবে?
নিজেই এই প্রশ্নের উত্তরে সি চিন পিং বলেন, নতুন যুগের সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে; আমাদেরকে সময়ের আহ্বানে দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিতে হবে; বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করতে হবে; ‘পুত্রজায়া চেতনা’ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে হবে; উন্মুক্ত, গতিশীল, শক্তিশালী ও শান্তিপূর্ণ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে; অঞ্চলের জনগণ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সাধারণ সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
এ সময় সি চিন পিং চীনা প্রস্তাব উত্থাপন করেন: উদ্ভাবনের মাধ্যমে উন্নয়ন বাস্তবায়ণ করতে হবে; উন্মুক্তকরণে অবিচল থাকতে হবে; সবুজ উন্নয়নের পথে এগিয়া যেতে হবে; এবং ইনক্লুসিভ শেয়ারিং নীতি মেনে চলতে হবে।
এশিয়া-প্যাসিফিক সহযোগিতার মূল থিম হল উন্মুক্ততা ও সহনশীলতা। পরিসংখ্যান অনুসারে, বিগত ৩০ বছরে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে গড় শুল্কের স্তর ১৭ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ৭০ শতাংশ অবদান রেখেছে।