এশিয়া-প্যাসিফিক উন্নয়নের পরবর্তী "সুবর্ণ ত্রিশ বছর"
উন্নয়নের পরিবেশ ও বাহ্যিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে চীন রক্ষণশীল হয়ে ওঠেনি, বরং উচ্চ-মানের উন্মুক্তকরণ এবং আরও বেশি অবদানের মাধ্যমে উন্নয়ন সমস্যার সমাধান করছে।
সবুজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে, আঞ্চলিক সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক চুক্তির গভীরভাবে বাস্তবায়নের সাথে, চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য চুক্তি ৩.০-এর আলোচনা, চীনের অবাধ বাণিজ্য পাইলট অঞ্চলগুলোর উচ্চ মানের বাণিজ্যিক সংযোগ, বিশেষ করে উচ্চ-মানের নিম্ন-কার্বন নির্গমন নিয়মের বাস্তবায়ন, সবুজ বাণিজ্য ও সবুজ বিনিয়োগ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যখন ইনক্লুসিভ শেয়ারিং নীতির কথা উল্লেখ করেন, তখন সি চিন পিং বলেন, তিনি অনেকবার বলেছেন যে, সত্যিকারের উন্নয়ন মানে সবাই একসাথে বিকশিত হওয়া।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩০ বছরে, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মাথাপিছু আয় চার গুণেরও বেশি বেড়েছে এবং এক বিলিয়ন মানুষ সফলভাবে দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে, যা মানবজাতির অগ্রগতি ও বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
চীনের উন্নয়ন এশিয়া-প্যাসিফিক থেকে উপকৃত হয়েছে, এবং এশিয়া-প্যাসিফিক চীনের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। এপেকের সদস্য হিসাবে, চীন অটলভাবে বহির্বিশ্বের সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করে যাচ্ছে; এপেকের বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে; এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে, চীনের প্রস্তাবিত ধারণা ও পরিকল্পনা, যেমন "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগ, এশিয়া-প্যাসিফিক অভিন্ন কল্যাণের সমাজ, ইত্যাদি এশিয়ার সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ২০২২ সালে, চীন ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৩.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছায়, যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.২ শতাংশ বেশি এবং চীনের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের ৩৬.৮ শতাংশ।
সি চিন পিং বলেন, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য চীন এপেককে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে এবং যৌথভাবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে আরও উন্নত করবে।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে পরবর্তী "সুবর্ণ ত্রিশ বছর" সৃষ্টিতে চীনের শক্তি অপরিহার্য।