প্রসঙ্গ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ না মনুষ্য-সৃষ্ট দুর্যোগ? হাওয়াই আগুন মার্কিন সরকারের প্রকৃত চেহারার মুখোশ খুলে দিল
সম্প্রতি মার্কিন হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাউই’তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত মাউই অগ্নিকাণ্ডে ১১৪জন নিহত এবং সহস্রাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জশ গ্রিন বলেন, ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা গত শত বছরে অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর থেকে ‘নিখুঁত অ্যালার্ম’ সিস্টেম পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে। মার্কিন ফেডারেল সরকারের উদ্ধার ও সাহায্য ছিল খুব ধীর গতির। ওয়াশিংটনের রাজনীতিকরা এ বিষয়ে একেবারে উদাসীন ছিলেন। তাতে মাউই জনগণ রাগান্বিত এবং নিরাশ হয়। এ অগ্নিকাণ্ড মার্কিন সরকারের প্রকৃত চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছে।
‘নিখুঁত অ্যালার্ম সিস্টেম’ পুরোপুরি অকার্যকর
হাওয়াইতে আছে বিশ্বের বৃহত্তম আউটডোর দুর্যোগ সতর্কতা ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার ৪০০টি অ্যালার্ম আছে। এর মধ্যে মাউই দ্বীপে রয়েছে ৮০টি। তবে অগ্নিকাণ্ড প্রাদুর্ভাবের পর সেসব অ্যালার্ম নীরব হয়েছে। মাউই অগ্নিকাণ্ডে বেঁচে যাওয়া একজন অধিবাসী বলেন, তখন কোনো সতর্কতা ঘণ্টা বাজে নি। প্রত্যাহারের নোটিসও দেওয়া হয় নি। অনেকে প্রস্তুত ছিলেন না।
স্থানীয় সময় গত ১৬ আগস্ট মাউই কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থা বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানায়, সতর্কতা আরোপ না করায় কোনো অনুশোচনা নেই। কারণ সতর্কতা আরোপ করলে মানুষকে উচ্চ স্থানে ‘অগ্নিকাণ্ডে ছুটে চলার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারতো”। সে কর্মকর্তার কথায় ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে জনমনে।
মার্কিন অনেক নেটিজেন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন যে, কথিত সতর্কতা ব্যবস্থা কেবল একটি সাজসজ্জা, যা মার্কিন সরকার অপারেটর এবং ঠিকাদারদের যৌথ নির্মিত খারাপ প্রকল্প।