প্রসঙ্গ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ না মনুষ্য-সৃষ্ট দুর্যোগ? হাওয়াই আগুন মার্কিন সরকারের প্রকৃত চেহারার মুখোশ খুলে দিল
সরকারী উদ্ধার ও ত্রাণসাহায্য খুব ধীর গতির ছিল
অকার্যকর সতর্কতায় যদি অসন্তুষ্ট হন, তাহলে দুর্যোগের পর মার্কিন ফেডারেল সরকারের উদ্ধার ও ত্রাণসাহায্য ধীরে আসার বিষয়টি আরও দুঃখজনক।
দুর্যোগের বিষয়টি শোনার ৭২ ঘণ্টা পর নৌবাহিনী, চিকিত্সা জাহাজ, হেলিকপ্টার ও উদ্ধারকারী সরঞ্জামগুলো অগ্নিকাণ্ড কবলিত অঞ্চলে প্রবেশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র সবসময় মানুষকে রক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের কথা বলে থাকে। তবে অগ্নিকাণ্ড ঘটার সময় মার্কিন বাহিনী কোথায় ছিলো? তারা কি ত্রাণসামগ্রী নিয়েছে, দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য?
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৭ দিন পর গত ১৫ অগাস্ট মার্কিন ফেডারেল জরুরি প্রশাসন বা ফেমা ২৩ লাখ মার্কিন ডলার ত্রাণসাহায্য দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। তবে, এর আগের দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ইউক্রেনে ২০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নতুন দফা সামরিক ত্রাণসাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মার্কিন সরকার ইউক্রেনে সহস্রাধিক কোটি মার্কিন ডলার ত্রাণ দেয়। আর, তারা তো কোনো ত্রাণসাহায্য পান নি।
মার্কিন রাজনীতিকদের চোখে মাউই অগ্নিকাণ্ডে নিহত মার্কিন নাগরিকদের চেয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি যে কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে একেবারেই "অদ্ভুত"।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত কিশোর মাহবুবানি অনেক আগেই বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আজ মোটেও "গণতান্ত্রিক" নয়, বরং একটি "প্লুটোতান্ত্রিক দেশ। তথাকথিত প্লুটোতন্ত্র" এর অর্থ হল যে, মার্কিন সরকার আর দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষের জন্য নয়, তারা শুধুমাত্র কিছু ধনী লোককে সেবা দেয়।