প্রসঙ্গ: চীন-হন্ডুরাস সম্পর্ক ও বেইজিংয়ের বন্ধুর সংখ্যা বৃদ্ধি
জুন ১১: সম্প্রতি হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট আইরিস জিওমারা কাস্ত্রো সারমিয়েন্টো (Iris Xiomara Castro Sarmiento) চীন সফরে আসেন। এটি কেবল প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রোর চীনে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর নয়, হন্ডুরাসের যে-কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম চীন সফর।
সম্প্রতি চীনের সাথে হন্ডুরাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে হন্ডুরাসের তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে। প্রায় তিন মাস আগে, চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে হন্ডুরাস। আর জুন মাসের শুরুর দিকে হন্ডুরাসে চীনা দূতাবাস খোলা হয়েছে। হন্ডুরাসও চীনে তার দূতাবাস খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হন্ডুরাসের এডুয়ার্ডো এনরিকে রেইনা সম্প্রতি বলেন, দু’দেশ শীঘ্রই বাণিজ্যিক আলোচনা শুরু করবে। তিনি বলেন,
“এটি হন্ডুরাসের জন্য একটি খুব ইতিবাচক সম্পর্কের সূচনা। কারণ, আমি মনে করি, হন্ডুরাসের জনগণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে অবগত। সম্প্রতিক বছরগুলোয় ল্যাটিন আমেরিকায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কাস্ত্রো সরকার হন্ডুরাসের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সম্মান দেখানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, এটি হন্ডুরাসকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে।”
গত দশ বছরে, দশটি দেশ তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ ছিন্ন করেছে এবং চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। ল্যাটিন আমেরিকায়, হন্ডুরাস ছাড়াও, এ তালিকায় নিকারাগুয়া, এলসালভাদর, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ও পানামা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিন্তু একটি দেশ এতে খুশি নয়। আর সে দেশটির নাম যুক্তরাষ্ট্র।
ঠিক যখন চীন ও হন্ডুরাস কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ‘তাইওয়ানে মার্কিন সমিতি’ এক-চীন নীতির সমর্থনের বিনিময়ে অপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করে। ২০১৮ সালে, প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পানামাকে চীনের সাথে ব্যবসা না-করার জন্য সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারি পানামা কানে তোলেনি।