প্রসঙ্গ: চীন-হন্ডুরাস সম্পর্ক ও বেইজিংয়ের বন্ধুর সংখ্যা বৃদ্ধি
‘মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ’ ধারণার প্রবক্তা হিসাবে, চীন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ দফা নীতির ভিত্তিতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে; সমতা, উন্মুক্ততা ও সহযোগিতার বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে গভীরতর ও প্রসারিত করছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে চীন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতায চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে এ থেকে সুফল পাওয়া গেছে; অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। যেমন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীন দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বের অষ্টম সর্বাধিক জনবহুল দেশ বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে নিয়েছে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’ উন্নয়ন-কৌশলের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গত বছর বাংলাদেশ-চীন অষ্টম মৈত্রী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়। চীনের সহায়তায় নির্মিত পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সারা দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। গত বছরের জুন মাসে প্রায় ৮ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলার পর, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। চীন রেলওয়ে ব্রিজ ব্যুরো সেতুটি নির্মাণ করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ সরাসরি এই সেতুর সুবিধা পাবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পদ্মা সেতু আঞ্চলিক অর্থনীতির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
চীন স্পষ্ট করে বলে আসছে যে, তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং চীনে সকল অংশকে অবশ্যই একত্রিত হতে হবে। চীনের সাথে সম্পর্ক গড়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘এক-চীননীতি’ মেনে চলা। এই পূর্বশর্ত মেনে বেইজিংয়ের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সর্বশেষ দেশ হচ্ছে হন্ডুরাস। বিশ্বে এখনও গুটিকতক দেশ রয়ে গেছে, যারা এই নীতির বিরুদ্ধে। অদূর ভবিষ্যতে তারাও হন্ডুরাসের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, এমন আশা করা যায়।