সাংস্কৃতিক ব্রত এবং সাংস্কৃতিক শিল্পের সমৃদ্ধি ও বিকাশ
জানুয়ারি ১৯: সংস্কৃতি হল একটি জাতির আধ্যাত্মিক জীবন। সাংস্কৃতিক আত্মবিশ্বাস আরও মৌলিক, বিস্তৃত ও গভীর; একটি দেশ বা জাতির উন্নয়নে সবচেয়ে মৌলিক, গভীরতম ও সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি’র) কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে জাতীয় উন্নয়নের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘সাংস্কৃতিক আত্মবিশ্বাস ও আত্ম-উন্নয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতির নতুন গৌরব প্রতিষ্ঠা’-কে প্রধান কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনে জাতীয় পুনরুজ্জীবন এবং ‘সাংস্কৃতিক ব্রত ও সাংস্কৃতিক শিল্পের বিকাশের’ জন্য একটি মৌলিক দিক্-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাংস্কৃতিক ব্রত ও সাংস্কৃতিক শিল্পের বিকাশ সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ এবং চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্রকে সমুন্নত ও বিকাশের জন্য সহায়ক। এটি জনগণের সাংস্কৃতিক চাহিদা আরও ভালভাবে মেটাতে এবং একটি উন্নত জীবনের জন্য জনগণের নতুন প্রত্যাশা পূরণেও সহায়ক। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ও বিকাশের কথা সিপিসি’র কুড়িতম জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদনেও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ার নতুন যাত্রায়, ফ্যাশনে নেতৃত্বদান, জনগণকে শিক্ষিত করা, ও সমাজের সেবায় সংস্কৃতির ভূমিকা অনস্বীকার্য। যদি কোনো দেশের সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন ও সৃষ্টির ক্ষমতা যথেষ্ট শক্তিশালী না হয় এবং সাংস্কৃতিক পণ্য ও পরিষেবার সংখ্যা ও মান কম হয়, তবে সেই দেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক মর্যাদা ধরে রাখা কঠিন।