কেনিয়ায় অবকাঠামো নির্মাণে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের জোহানেসবার্গ শীর্ষসম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীন-আফ্রিকা নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করার কথা ঘোষণা করেন। তখন থেকেই চীন আফ্রিকার সঙ্গে শিল্পায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন, অবকাঠামো, ব্যাংকিং, সবুজায়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, দারিদ্র্যবিমোচন, জনস্বাস্থ্য, সংস্কৃতি, শান্তি ও নিরাপত্তা—এই দশটি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। চীন আফ্রিকার সঙ্গে বাস্তব সহযোগিতার একটি বড় সবুজ নকশা গড়ে তোলে।
গত মে মাসে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুর কেনিয়াত্তা এক ভাষণে পুনরায় কম খরচে আবাসনের কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, কর্মসংস্থান ও আয় ব্যাপক বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের স্বল্প মূল্যের আবাসন নির্মাণের সামর্থ্য বাড়বে। আমার স্বপ্ন হল, অদূর ভবিষ্যতে কেনিয়ায় মধ্যম আয়ের সকল মানুষের জন্য উপযুক্ত আবাসন-সুবিধা সরবরাহ করা।'
স্বল্প মূল্যের আবাসন নির্মাণ ২০১৭ সালে কেনিয়াত্তার উত্থাপিত কেনিয়ার জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক চারটি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি। তাঁর পরিকল্পনা মোতাবেক, ২০২২ সালের মধ্যে কেনিয়ায় ৫ লাখ স্বল্প মূল্যের গৃহ নির্মিত হবে।
২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেনিয়ায় প্রতিবছর আবাসিক গৃহ নির্মাণের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও কম। দেশটিতে ২০ লক্ষাধিক গৃহের ঘাটতি। কেনিয়ার প্রায় ৬১ শতাংশ শহুরে নাগরিক-পরিবার বস্তিতে বাস করে। কেনিয়ায় শহরাঞ্চলের আয়তন মাত্র ৪.৪ শতাংশ। প্রতিবছর শহরে নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি হয় ৫ লাখ করে। প্রশ্ন হচ্ছে: কিভাবে গৃহের অভাব দূর হবে এবং গৃহনির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনা যাবে? কিভাবে পরিবেশবান্ধব ও মূল্য-সাশ্রয়ী গৃহ নির্মাণ করা সম্ভব? এ-প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে শুধু যে কেনিয়ার নাগরিকরা ও নেতারা হয়রান হয়েছে, তা নয়; বরং সেদেশে গৃহনির্মাণে অংশগ্রহণকারী চীনা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোকেও যথেষ্ট মাথা ঘামাতে হয়েছে।