চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার নিদর্শন:উগান্ডার কারুমা পানিবিদ্যুতকেন্দ্র
"কারুমা প্রকল্পে কাজ করার সময় আমি বিভিন্ন ধরনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। আমি শুধু একটি সহজ কাজ করতাম না। বর্তমান আমি যে-কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পারি। আমি বলতে চাই, চীনা কোম্পানি আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমার দক্ষতা বৃদ্ধিতে কোম্পানির ভূমিকা অনস্বীকার্য।"
খামিসি মনে করেন, কারুমা বিদ্যুতকেন্দ্র এর আশেপাশের এলাকার সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নে বিরাট চালিকাশক্তির ভূমিকা পালন করছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, "কারুমা প্রকল্প এর আশেপাশের এলাকার অর্থনীতির দ্রুত উন্নতি ঘটিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখানকার যে তরুণ আগে বাসে পানি বিক্রি করতেন, এখন তিনি জমি কিনেছেন ও ব্যবসা করছেন।"
চীনা কোম্পানি সামাজিক দায়িত্বও পালন করছে। চীনা কোম্পানিটি প্রকল্পস্থল থেকে চার ঘন্টার গাড়িদূরত্বে অবস্থিত একটি গ্রামে সেতু নির্মাণ করেছে এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে বিনামূল্যে চিকিত্সাসেবা দিয়ে থাকে। গত ৮ মার্চ প্রকল্পের পক্ষ থেকে স্থানীয় দু'জন ছাত্রীকে চার বছরের টিউশন ফি ও যাতায়াত খরচ দেওয়া হয়েছে বৃত্তিস্বরূপ। কারুমা থানা কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াশিংটন ছায়া কোম্পানির জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সাক্ষী ও সুবিধাভোগী। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, "কারুমা প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুর দিকে চীনা কোম্পানি উগান্ডা সরকারকে স্থানীয় সমাজ উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চিকিত্সাকেন্দ্র ও স্কুল নির্মাণ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সাহায্য দান করার ব্যাপারে। কোম্পানি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। আমরা চীনা কোম্পানির কর্মীদের সঙ্গে সুষ্ঠু সম্পর্ক বজায় রাখছি। কারণ, তাঁরা সত্যি সত্যিই আমাদেরকে অনেক সহায়তা করেছেন। চীনা কোম্পানি আমাদের অবকাঠামো নির্মাণে অংশ নেয়। তাঁদের সহায়তায় আমাদের পানীয় জলের অভাব পূরণ হয়েছে; আমরা নতুন গৃহে বাস করছি; নতুন সড়ক ব্যবহার করছি।"
কারুমা প্রকল্পের কার্যালয়ে একটি শ্লোগানসমৃদ্ধ বোর্ড আছে। শ্লোগানটি হচ্ছে: 'উন্নততর উগান্ডা গড়ে তুলতে চীনের পানিবিদ্যুতআ।' বলা বাহুল্য, উগান্ডার মতো আফ্রিকার অন্যান্য দেশেও চীনের বিভিন্ন প্রকল্প আছে এবং সেগুলো সেসব দেশের অর্থনীতি ও সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।