পৃথিবীর শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গ ‘মাউন্ট এভারেস্ট’
১৯ শতাব্দীর শুরুর দিকে, মাউন্ট এভারেস্ট বিশ্বের পর্বতারোহী ও বিজ্ঞানীদের আকর্ষণ করতে থাকে। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত যা ছিল না। সে বছর নিউজিল্যান্ডের এডমন্ড হিলারি ও তেনজিং শেরপা প্রথম এভারেস্টের শৃঙ্গে আরোহণ করতে সক্ষম হন। ১৯৯৮ সালের শেষ নাগাদ পর্যন্ত, সারা বিশ্বের ১০৫৪ জন পর্বতারোহী এভারেস্টের শীর্ষে পৌঁছানোর সম্মান অর্জন করেন। তাঁরা ১১টি পর্বত আরোহণের পথ আবিষ্কার ও তৈরি করেন।
পৌরাণিক কাহিনী ও কিংবদন্তী অনুসারে, মাউন্ট এভারেস্ট হল সেই প্রাসাদ যেখানে পাঁচ বছর বয়সী এক দেবী বাস করেন। তিব্বতি ভাষায় মাউন্ট এভারেষ্টের যে নাম তার অর্থ ‘পৃথিবীর মা’। ১৮৫৮ সালের গোড়ার দিকে, ভারতীয় জরিপ কর্মকর্তা ও হিমালয় পরিমাপের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন পরিচালক জর্জ এভারেস্টের নামানুসারে এই চূড়াটির নামকরণ করা হয়। এ নামেই বিশ্বে এটি অধিক পরিচিতি পায়। তবে, নেপালিরা তারপর একে ‘সাগরমাথা’ নামে ডাকে। এর মানে ‘আকাশের ঈশ্বর’।
মাউন্ট এভারেস্ট শুধু মহিমান্বিত নয়, এর রয়েছে খাড়া ভূখণ্ড ও জটিল পরিবেশ। পুরো পর্বতটি একটি দৈত্যাকার পিরামিডের আকারের, যার গোটা শরীর সাদা বরফ বা তুষারে ঢাকা। মাউন্ট এভারেস্টের শৈলশিরা এবং ক্লিফগুলির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের হিমবাহ আছে। একেকটি শিখরে ৬০০টিরও বেশি হিমবাহ রয়েছে, যা ১৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। দীর্ঘতম হিমবাহটি ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল হিমবাহের উপর বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত ও বিরল বরফের টাওয়ার রয়েছে। সূর্যের আলো সেগুলোতে প্রতিফলিত হয়ে দারুণ সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা হয়।
মাউন্ট এভারেস্টের চারপাশে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে, ৮০০০ মিটার বা তারচেয়ে বেশি উচ্চতার পাঁচটি চূড়া রয়েছে এবং ৬০০০ থেকে ৭০০০ মিটারের মধ্যে অনেকগুলো চূড়া রয়েছে।