ফিংশান জেলায় বিপ্লবী পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন
স্বামীকে রাজি করানোর পর, ২০২০ সালের শেষ দিকে ওয়াং ওয়েই তাঁর স্বামীকে নিয়ে হংইয়াকু পর্যটনকেন্দ্রে রেস্তোরাঁ খুলে বসেন। তাঁরা খাবারের মান, সেবা ও নব্যতাপ্রবর্তনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেন। তাঁদের ব্যবসা খুবই ভালো। ওয়াং ওয়েই বলেন, ‘আমার মনে হয়, সেবা প্রথম, খাবার দ্বিতীয় স্থানে। এ ছাড়াও নব্যতাপ্রবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের খাবারের দাম বেশি না। আমি ১২ বছর চেচিয়াং প্রদেশে ব্যবসা করার অভিজ্ঞতা দিয়ে নিজের জন্মস্থানে রেস্তোরাঁ খুলেছি। আমাদের গ্রাম আগের মতো নেই। অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে আমার জন্মস্থান আরো সুন্দর হবে, আমাদের আয় আরো বেশি হবে।‘
হংইয়াকু পর্যটনকেন্দ্র গড়ে ওঠার পাশাপাশি স্থানীয় অবকাঠামোরও অনেক উন্নতি হয়েছে। সড়ক-যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় কাছাকাছি ছয়টি গ্রামের পরিবহনসমস্যার সমাধান হয়েছে। গ্রামবাসীরা পারিবারিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও দোকান খুলেছেন। বর্তমান পর্যটনকেন্দ্রে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৩২০ জন। এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী হলেন ওয়াং ওয়েই'র মতো স্থানীয় বাসিন্দা। ফিংশান জেলার সংস্কৃতি, বেতার, টেলিভিশন ও পর্যটন ব্যুরোর পরিচালক মাদাম ওয়াং ওয়েই বলেন, স্থানীয় যুবকদের উদ্যোক্তা হতে আরও উত্সাহ দেওয়া হবে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জন্মস্থানে ফিরে এসে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে যেসব যুবক, তাদের জন্য বিশেষ ভর্তুকির ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সুবিধাও তাদের দেওয়া হয়, যাতে তারা বাইরে থেকে জন্মস্থানে ফিরে ব্যবসা করে, প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এ ব্যাপারে আরও নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‘
এ পর্যন্ত ফিংশান জেলা ৫০টিরও বেশি পর্যটন শিল্প গ্রাম উন্নয়ন করেছে এবং পারিবারিক হোটেল খুলেছে ৬ শতাধিক। জেলায় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ এবং সাংস্কৃতিক শিল্পসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে আরও অনেক যুবকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা যায়।