বাংলা

ফিংশান জেলায় বিপ্লবী পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন

CMGPublished: 2023-10-21 16:14:46
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

লিয়াংচিয়াকৌ গ্রাম কমিটির পরিচালক হান চি ফিং বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ গ্রামবাসী রেস্তোরাঁ, হোটেল ও পর্যটন স্যুভেনির বিক্রির ব্যবসা করছেন। গ্রামবাসীদের প্রতিবছর মাথাপিছু গড় আয় ১০ হাজার ইউয়ানের বেশি। এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সিপাইফো থানার লিয়াংচিয়াকৌ গ্রামে মোট ৯০ পরিবারের ৩৪০ জন বাসিন্দা রয়েছেন। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা সিপাইফো'র পর্যটনসম্পর্কিত ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রায় ৭০ শতাংশ বাসিন্দা এ ব্যবসা করেন।‘

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিপাইফো থানায় অবস্থিত ফিংশান জেলা 'পরিবেশ সুরক্ষা ও পর্যটন সমৃদ্ধ' কৌশল কার্যকর করে এসেছে। ২০২২ সালে জেলাটির আয় ৪৮ বিলিয়ন ইউয়ান ছিল, যা ২০২০ সালের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। পর্যটন শিল্প উন্নয়নের ফলে স্থানীয় যুবকরা জন্মস্থানে ফিরতে আগ্রহী হচ্ছে। ওয়াং ওয়েই ফিংশান জেলার পর্যটনকেন্দ্রে একটি রেস্তোরাঁর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জানান, তাঁর ব্যবসা খুবই ভালো চলছে। তিনি বলেন, ‘ব্যস্ত সময়ে আমাদের পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিদিন গড়ে পর্যটক হয় ১০ হাজারেরও বেশি। সেজন্য আমার রেস্তোরাঁর ব্যবসা খুবই ভাল। আমার স্বামী হলেন চিয়াংসু প্রদেশের মানুষ। আগে আমরা চেচিয়াং প্রদেশে কাজ করতাম। এখন আমার স্বামী, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী আমার সঙ্গে আমাদের জন্মস্থানে ব্যবসা করছেন।‘

ওয়াং ওয়েই'র রেস্তোরাঁ ফিংশান জেলার হংইয়াকু পর্যটনকেন্দ্রে অবস্থিত। হংইয়া প্রাচীন থানাকে কেন্দ্র করে স্কি রিসোর্ট, হংইয়া কলেজ ও গ্লাসের তৈরি ঝুলন্ত সেতু নির্মিত হয়েছে। হংইয়া ক্রমবর্ধমান হারে পর্যটক আকর্ষণ করছে। ওয়াং ওয়েই পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশের থাইচৌ শহরে কাজ করেছেন ১২ বছর। দু'বছর আগে তিনি জন্মস্থানে ফিরে আসেন। তখন তাঁর স্বামী তার ফিরে আসার বিরোধিতা করেছিলেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগে আমি স্বামীর সঙ্গে চেচিয়াং প্রদেশে ১২ বছর কাজ করেছি। তখন আমার স্বামীর মাসিক বেতন ছিল ১০ হাজার ইউয়ানের কিছু বেশি। তিনি মনে করতেন, উত্তরাঞ্চলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের গতি দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে ধীর। কিন্তু আমার মনে হয়, যদিও আমার জন্মস্থানে পর্যটন শিল্প উন্নয়নের শুরুর মনে হয়েছে, উন্নয়নের গতি ভবিষ্যতে দ্রুত হবে। এ ছাড়া, আমাদের অভিজ্ঞতা বেশি। সেজন্য আমরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারবো।‘

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn