সিনচিয়াং থেকে তিব্বত: হ্রদ সর্বাঙ্গে
এ অনুষ্ঠানে আমরা পালাক্রমে সিনচিয়াং ও তিব্বতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আশা করি, এর মাধ্যমে শ্রোতারা চীনের সুন্দর সিনচিয়াং ও সুন্দর তিব্বত সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাচ্ছেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান। আজকে আমরা তিব্বত নিয়ে কথা বলব।
>> হ্রদ সর্বাঙ্গে
চীনে সবচেয়ে বেশি হ্রদ আছে তিব্বতে। এখানে ছোট-বড় হ্রদের সংখ্যা দেড় সহস্রাধিক। সবচেয়ে বিখ্যাত হ্রদের মধ্যে রয়েছে ‘নামুছুও’, ‘ইয়াং চুওইয়ুংহু’, ‘মাফাংইয়ুংছুও’, ‘পানকুংছুও’, ‘পাসুংছুও’ এবং ‘সেনলিনছুও’। তিব্বতের হ্রদগুলোর মোট আয়তন ২৪ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার, যা গোটা চীনের হ্রদের মোট আয়তনের ৩০ শতাংশ। তিব্বতে এক বর্গকিলোমিটারের বেশি আয়তনের হ্রদের সংখ্যা ৬১২টি, ৫ বর্গকিলোমিটারের চেয়ে বেশি আয়তনের হ্রদের সংখ্যা ৩৪৫টি, ৫০ বর্গকিলোমিটারের চেয়ে বেশি আয়তনের হ্রদের সংখ্যা ১০৪টি, ১০০ বর্গকিলোমিটারের চেয়ে বেশি আয়তনের হ্রদের সংখ্যা ৪৭টি, ৫০০ বর্গকিলোমিটারের চেয়ে বেশি আয়তনের হ্রদের সংখ্যা ৭টি। ‘নামুছুও’, ‘স্যলিনছুও’ ও ‘’চারিনানমুছুও’—এই তিনিটি হ্রদের প্রত্যেকটির আয়তন ১০০০ বর্গকিলোমিটারের চেয়ে বেশি। এর মধ্যে ‘নামুছুও’ হ্রদের আয়তন ১৯৬১ বর্গকিলোমিটার। এটি তিব্বতের বৃহত্তম হ্রদ। এটি চীনে সবচেয়ে সুন্দর হ্রদগুলোর অন্যতম।
তিব্বতের হ্রদগুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানির হ্রদের সংখ্যা কম এবং লবণাক্ত পানির হ্রদের সংখ্যা বেশি। প্রাথমিক জরিপ অনুযায়ী, তিব্বতে লবণাক্ত পানির হ্রদের সংখ্যা প্রায় ২৫১টি, যার মোট আয়তন ৮০০০ বর্গকিলোমিটার। এসব হ্রদের কাছাকাছি চারণভূমি রয়েছে, যেগুলোতে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ঘুরে বেড়ায়।
তিব্বতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মাঝারি আকারের হ্রদের পানির গুণগত মান ভালো, রঙ গভীর নীল, এবং স্ফটিকের মতো পরিষ্কার। এ পানিতে তুষার-পর্বতের ছবি প্রতিফলিত হয়, যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ‘হু পিন’ হচ্ছে একটি সমৃদ্ধ চারণভূমি। এটা জলপাখি ও মাছের নিরাপদ আবাস। কিছু বড় আকারের হ্রদের আবার দ্বীপপুঞ্জ আছে। ছোট দ্বীপগুলো হচ্ছে ‘পাখীদের রাজ্য’। এর মধ্যে আলির পশ্চিমের ‘পানকুংছুও’ দ্বীপ সবচেয়ে বিখ্যাত।