কুয়াংস্যি দাচাই গ্রামে পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা
এ ছাড়াও, গ্রামের মানুষ ৭ শতাংশ লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। ২০১৯ সালে কালেকটিভ অর্থনৈতিক লভ্যাংশ মোট ৭২ লাখ ইউয়ান ছিল, যা মাথাপিছু ৫৮০০ ইউয়ানেরও বেশি। এটি হলো গ্রামটির ইতিহাসের নতুন রেকর্ড।
গ্রামবাসী ফান ইং ফান গত বছর ৫.৮ হাজার ইউয়ান লভ্যাংশ পেয়েছেন। তিনি টানা তিন বছর গ্রামটির সর্বোচ্চ লভ্যাংশ পেয়ে আসছেন। ২০১৯ সালে দাচাই গ্রাম সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়।
২০১৫ সালে দাচাই গ্রামে দারিদ্র্যবিমোচন পরিকল্পনা কার্যকর হওয়ার পর, গ্রামটির কমিশন ৩০ জনেরও বেশি তরুণ নিয়ে সিড়ির ধাপের মতো থাককাটা মাঠ সুরক্ষাকাজ শুরু করে।
ফান ইং ফাংয়ের চাষ করার ক্ষেত্রে দক্ষতা বেশি। তিনি নিজের চাষক্ষেত্রে কাজ করা ছাড়াও অন্যান্য গ্রামবাসীকে সহায়তা করেন। সেজন্য প্রতি বছর তাঁর লভ্যাংশ অনেক বেশি থাকে।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে আমার লভ্যাংশ ছিল ৫.২ হাজার ইউয়ান, ২০১৮ সালে ছিল ৫.৬ হাজার ইউয়ান, ২০১৯ সালে ছিল ৫.৮ হাজার ইউয়ান। আমি শুধুমাত্র এ ক্ষেত চাষ করার মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছি।’
বর্তমানে দাচাই গ্রামের বাসিন্দারা শুধুমাত্র দৃশ্যস্থান হিসাবে টেরেসের চাষই করে তা নয়, বরং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তা করে, যাতে খাদ্যশস্য উত্পাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। আসলে দাচাই গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্য, চাষক্ষেত্র ও বন একে অপরের পরিপূরক।
গ্রামটির আদি বন সুরক্ষার জন্য গ্রামের কমিশন ২০ জন বাসিন্দা নিয়ে বন রক্ষী দল গঠন করেছে। বন রক্ষী দল দুই দিনে একবার গোটা বনে টহল দেয়।
গত শতাব্দীতে বনের অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বনের সম্পদ ক্ষতি করার মাধ্যমে ধনী হননি। বর্তমানে তাঁরা পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে মুনাফা পেয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার নতুন চেতনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘বন না হলে আমাদের গ্রাম নেই। বন, চাষ ক্ষেত্র ও গ্রাম হলো আমাদের জনস্থান। বন সুরক্ষা করা হলো নিজের বাড়ি সুরক্ষা করা।’
গ্রাম পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে দাচাই গ্রাম সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। গ্রামটির মাথাপিছু বার্ষিক আয় ২০০৩ সালের ৭০০ ইউয়ান থেকে বেড়ে ২০১৯ সালে ১৫ হাজারে উন্নীত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন, সবুজ পাহাড় ও পানি হলো স্বর্ণ ও রৌপ্যের পাহাড়।