২০২৩ সালের দুই অধিবেশনে তিব্বতি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গ
গত সপ্তাহে আমরা চীনের ২০২৩ সালের দুই অধিবেশনে সিনচিয়াংয়ের অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের গল্প বলেছিলাম। এবারের অনুষ্ঠানে আমরা তিব্বতের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো।
সিপিপিসিসি’র সদস্য পিয়ান পা লা মু
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ইতোমধ্যেই তিন বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন তিব্বতি প্রতিনিধি পিয়ান পা লা মু। তিনি তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমি থেকে চীনের সমাজ ও বিজ্ঞান একাডেমিতে কাজ করতে আসেন।
চলতি বছর তিনি বেইজিংয়ে চতুর্দশ গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন (সিপিপিসিসি)-র সদস্য নির্বাচিত হন। গতবার তিনি তিব্বতে নির্বাচিত হন। সিপিসি’র একজন সদস্য হিসেবে বড় হওয়া একজন জাতিগত ক্যাডার তিনি। তিনি সবসময় কৃতজ্ঞচিত্তে নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতিগত ঐক্য বজায় রাখার কাজ করে যেতে চান।
তিনি বলেন ‘তিব্বতের শিক্ষানীতি হচ্ছে গোটা চীনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। তিব্বত সবার আগে ১৫ বছরের বিনামূল্যের শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে।’ সেই সঙ্গে দেশের সুবিধাজনক ব্যবস্থাও উপভোগ করছে তিব্বত। তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে বসে বিভিন্ন জ্ঞান শিখতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বার আমি তৃণমূল পর্যায়ে পরিদর্শনকালে আমি দেখেছি যে, স্থানীয় সবচেয়ে ভালো স্থাপত্য হচ্ছে স্কুল।’
তিনি বলেন, ‘আমি লেখাপড়া কখনও থামাইনি। মানবজাতির সভ্যতা শিখছি এবং শিখছি দেশের সাধারণ নীতি।’ সেই সঙ্গে যেটা শিখেছেন, তা সবই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন তিনি। তিনি বলেন, তাঁর নিজের ও তাঁর মতো অনেকের প্রচেষ্টায় জাতিগত অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন-প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। চীনা জাতির মহান পুনরুত্থাপনে নিজের অবদান রাখছেন তিনি।
এনপিসি’র প্রতিনিধি পাইমাছুও