চীনে আর্থিক লেনদেনে নোট ব্যবহারের দিন কি শেষের পথে? অথবা হাসিতেই মূল্য পরিশোধ?
ডাবলিন ভিত্তিক রিসার্চ এন্ড মার্কেটস.কম এর এশিয়া-প্যাসিফিক ডিজিটাল পেমেন্ট রিপোর্ট-২০২২ এ বলা হয়েছে ২০২১ সালে চীনে প্রতি ৫ জন ক্রেতার মধ্যে ৪ জনই মোবাইল পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছেন। করোনার কারণে কাগুজে মুদ্রাবিহীন বা মুদ্রা স্পর্শবিহীন লেনদেন বেড়েছে বলে ওই সংস্থার জরীপে বলা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল লেনদেনে সবার শীর্ষে আছে আলি পে। ২০২৩ সালের মধ্যে ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষ মোবাইল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেন করবে। তবে চীনের বহুল প্রচলিত চায়না ডেইলির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে (২১ জুন ২০২২) দাবি করা হয়েছে দেশটিতে বর্তমানে ৮০ শতাংশ মানুষ অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপ বা মোবাইলে লেনদেন করে। ক্যাসলেস বা কাগুজে মুদ্রাবিহীন লেনদেন দ্রুত এবং সহজ। এই লেনদেন ব্যবস্থা মানুষকে বেশি করে কেনাকাটায় উৎসাহী করে। এটাকে অর্থনীতিবিদরা একটি দেশের অর্থনীতির জন্য ভাল বা ইতিবাচক হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। চীনের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ই-পেমেন্ট বা মোবাইল পেমেন্ট ব্যবস্থা ইতিবাচক অবদান রাখছে। তাছাড়া নানা সময়ে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া চীন সরকার অভ্যন্তরীণ কেনাকাটা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে। যাতে ওসব নিষেধাজ্ঞার কোন ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে। এতে দেখা গেছে নতুন এই পেমেন্ট ব্যবস্থা যথেষ্ট ফলদায়ক। করোনাকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রেও গণনাবিহীন স্পর্শবিহীন এই বিনিময় ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। কাগুজে মুদ্রাবিহীন বিনিময় ব্যবস্থা চীনাদের জীবনযাত্রাকে করেছে আরও সহজ।
ইমরুল কায়েস