‘চীন ভ্রমণ’ ক্রমাগত জনপ্রিয় হচ্ছে
বেইজিং পাতাল রেল ও ছেংতু রাস্তা থেকে হাংচৌ হ্রদ পর্যন্ত, সম্প্রতি, কিছু দেশীয় পর্যটন শহরে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বিদেশী বন্ধুরা বেড়াতে এসেছেন, সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে, পান্ডার সাথে ছবি তুলতে এবং স্কোয়ার নাচের অভিজ্ঞতা নিতে এসেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াতে, ‘চায়না ভ্রমণ’ লেবেলটি অনেক ব্লগারের নেটওয়ার্ক ট্রাফিকের’র পাসওয়ার্ড’ হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক লোক তাদের চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এবং চীন ভ্রমণ সম্পর্কে ‘সবচে শক্তিশালী বক্তা’ হয়ে উঠেছেন।
‘নদীর ধারে হাঁটতে হাঁটতে আমি দেখতে পেলাম যে, এই জায়গা অত্যন্ত পরিষ্কার। পার্কে অনেক লোক ব্যায়াম করছেন...’শহরের প্রাচীরে দাঁড়িয়ে ঘড়ির টাওয়ারের দিকে তাকিয়ে এবং দেয়ালের পাদদেশে বরাবর হাঁটা, ব্রিটেন থেকে আসা ক্রিসের পরিবারের পাঁচজন সদস্য সি’আন শহরে এক সপ্তাহ কাটিয়েছেন এবং বিদেশী নেটিজেনদের সাথে ভাগ করার জন্য তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে এক একটি ভিডিও তৈরি করেছেন, যা প্রচুর মনোযোগ এবং পছন্দ পেয়েছে।
ক্রিসের মতো আরও বেশি সংখ্যক বিদেশী পর্যটক চীন ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।
সম্প্রতি চীনের জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় যে, এই বছরের প্রথমার্ধে ১৪.৬৩৫ মিলিয়ন বিদেশী বিভিন্ন বন্দরের মাধ্যমে চীনে প্রবেশ করেছে, এই সংখ্যা গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে ১৫২.৭ শতাংশ বেশি। তাদের মধ্যে ৮.৫৪২ মিলিয়ন বিদেশি ভিসা-মুক্ত উপায়ে চীনে প্রবেশ করেছেন এবং যা মোট সংখ্যার ৫২ শতাংশ। বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও চীনে বিদেশীদের ভ্রমণের চাপ অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিট্রিপ ডেটা দেখায় যে, এই বছরের প্রথমার্ধে, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের অর্ডারগুলো গত বছরের অনুরূপ সময়ের চেয়ে ১.৬ গুণেরও বেশি বেড়েছে৷ ২০১৯ সালের সাথে তুলনা করে, চীনে প্রবেশকারী শীর্ষ ২০টি উত্স দেশের প্রায় কোনও পরিবর্তন নেই, তবে উচ্চতর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরুদ্ধারের হার বা ভিসা-মুক্ত নীতিগুলো উপভোগ করা দেশগুলোর অর্ডার বৃদ্ধির হার আরও স্পষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।