আনহুই প্রদেশে কর্মরত তাইওয়ানি শিক্ষকের স্বপ্ন অন্বেষণ
তিনি বলেন, তাইওয়ানে মুল ভূভাগের বিভিন্ন জায়গার অনেক স্ন্যাক রেস্তোঁরা রয়েছে। তিনি আগে বন্ধুদের সঙ্গে সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নিতে সেসব রেস্তোরাঁয় গিয়েছেন। তাই যখন তিনি আনহুইতে এসেছেন, তখন তার পরিবার চিন্তিত ছিল না।
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে, আমি আনহুইতে উন্নয়ন করতে অনেক তাইওয়ানের ব্যবসায়ী এবং চিচৌতে কর্মরত দশ জনেরও বেশি তাইওয়ানের শিক্ষকের সাথেও দেখা করেছি। আমরা হুনান এবং সিনচিয়াংসহ অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছি। সবকিছুই চমৎকার।’
এই বছর হলো চিচৌতে শেং মোং মেইয়ের আসার ষষ্ঠ বছর। ছয় বছরের মধ্যে তিনি চিচৌ শহুরের সংস্কৃতির উপর দশটিরও বেশি একাডেমিক নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন। তিনি এখনও মনে রেখেছেন যে, তাইওয়ানে চিচৌ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিভা নিয়ে আসার আমন্ত্রণ পাওয়া থেকে পদত্যাগ করে আনহুই প্রদেশে যাওয়া পর্যন্ত তাঁর মাত্র তিন মাস সময় লেগেছে।
নিজের এই সিন্ধান্ত প্রসঙ্গে শেং মোং মেই বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, মুল ভূভাগে যাওয়ার বীজ ২০১৫ সালে অঙ্কুরিত হয়েছিল।’ তিনি আরো বলেন, সেই সময় একজন দলনেতা হিসেবে তিনি চার বা পাঁচজন তাইওয়ানের ছাত্র-ছাত্রীর সাথে চোং শান বিশ্ববিদ্যালয় এবং জিনান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন এবং নিজ নিজ উদ্যোগে মূল ভূখণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পূর্ণ ব্যবস্থা, বিষয় সেটিংস এবং একটি উন্মুক্ত ক্যাম্পাস পরিবেশ উপলব্ধি করেছেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষাদানের পরিবেশের বাইরে স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতার কারণে তাইওয়ান প্রণালীর উভয় দিকের তরুণদের কৌতূহল, উষ্ণতা এবং উত্সাহ আমি স্পষ্টভাবে অনুভব করতে পারি। মানুষ, জমি এবং ভাষার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, মুখোমুখি যোগাযোগ সর্বদা সবচেয়ে আন্তরিক।”
তাইওয়ান প্রণালীর উভয়পক্ষই একই সংস্কৃতি এবং জাতি ভাগ করে, এবং সাধারণ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার এবং উপলব্ধি হল তাইওয়ান প্রণালীর উভয়দিকের স্বদেশবাসীকে সংযুক্ত করার ভিত্তি।