বিশ্বের চোখে চীনের অর্থনৈতিক উদ্ভাবনী শক্তি
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য দেখায় যে, ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, বিদেশি বিনিয়োগকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণার ব্যয় ১৭৬.৩৬ বিলিয়ন ইউয়ান থেকে বেড়ে ৩৩৭.৭৪ বিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে, যা ৯১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রিটিশ ‘ইকোনমিস্ট’ সাপ্তাহিক পত্রিকার ওয়েবসাইট সম্প্রতি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে যে, বিশ্বের গবেষণা ও উন্নয়ন পরীক্ষাগার হিসাবে চীনের ভূমিকা দিন দিন জোরদার হচ্ছে। চীনে পশ্চিমা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যার ফলাফল বিশ্বজুড়ে বিক্রি হওয়া পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অনেক বিদেশী অর্থনীতিবিদ এবং বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে, চীনের অতি-বৃহৎ বাজারের সুবিধা, সম্পূর্ণ শিল্প ও সরবরাহ চেইন ব্যবস্থা এবং বিপুল সংখ্যক উচ্চ শিক্ষিত শ্রমশক্তি পণ্য গবেষণা এবং উন্নয়ন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় চীনের সুবিধাগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হয়েছে।
হ্যাং সেং ব্যাংকের চীনের প্রধান অর্থনীতিবিদ ওয়াং ড্যান মনে করেন যে, চীনের বাজারের আকার এবং শিল্প চেইনের সুবিধাগুলো দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যমান থাকবে এবং চীনের সরবরাহ চেইন এবং উদ্ভাবন ক্ষমতা সময়ের সাথে সাথে উন্নত এবং শক্তিশালী হবে। অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে চীনা বাজার হল বিশ্বের বৃহত্তম পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান টেমাসেক চায়না’র চেয়ারম্যান উ ইবিং মনে করেন, চীনা কোম্পানিগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে শিল্পচেইন ও মূল্য-চেইনের উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। তাদের শুধু বিশ্বমানের উৎপাদন দক্ষতাই আছে তা নয়, অনেক উদীয়মান ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক অধিকারও রয়েছে। উদ্ভাবন ক্ষমতার সুবিধাগুলো উত্থিত হতে চলেছে। অব্যাহতভাবে সংস্কারকে আরও গভীর করা চীনের অর্থনৈতিক উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী প্রেরণা প্রদান করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।