বিশ্বের চোখে চীনের অর্থনৈতিক উদ্ভাবনী শক্তি
সার্বিকভাবে সংস্কার গভীরতর করা এবং চীনা-শৈলীর আধুনিকীকরণের প্রচারের বিষয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে ব্যাপক উদ্ভাবনকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিঙ্গাপুরের ‘দ্য স্ট্রেটস টাইমস’ ওয়েবের এক প্রবন্ধে বলা হয়, চীন আগামী পাঁচ বছরে বড় ধরনের সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে, এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনই তার দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির চাবিকাঠি।
রোমানিয়ান অনুবাদক ইভান বউদুলা বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের প্রস্তাবিত ‘শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিভা ব্যবস্থার সমন্বিত এবং প্রচারিত সংস্কার’ তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। মেধার মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করার কৌশল এবং উদ্ভাবন-চালিত উন্নয়নের কৌশল বাস্তবায়ন করা দূরদর্শী বলে মনে করেন তিনি। তিনি মনে করেন, চীন প্রতিভা লালন পালন এবং শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এই গুরুত্ব দেওয়া শুধুমাত্র দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে সাহায্য করে না, বরং বিশ্বকে মূল্যবান অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
চীন বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে জোরালোভাবে প্রচার করছে এবং তার এ প্রচেষ্টা ধীরে ধীরে ফলপ্রসূ হচ্ছে, ফলে বিশ্ব উপকৃত হবে।
ব্রিটিশ ‘নেচার’ ম্যাগাজিন ওয়েবসাইটে সর্বশেষ ‘২০২৪ সালে প্রকৃতি সূচক – চীন’ দেখায় যে, গত বছর প্রকৃতি সূচক ডাটাবেস সম্প্রসারণের পর চীন এখনও রাঙ্কিংয়ের প্রথম স্থানে রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ‘চোংআং ইবো’ ওয়েবসাইটের এক প্রবন্ধে এভাবে চীনের মূল্যায়ন করা হয় যে, ‘উচ্চ প্রযুক্তির শক্তির উত্থানের সাথে সাথে চীন একটি অনুসরণকারী হিসেবে তার ভাবমূর্তি ছিন্ন করেছে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।’
চীনের উদ্ভাবনী শক্তি চীনে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে বিনিয়োগ করতে অনেক বহুজাতিক কোম্পানিকে আকৃষ্ট করেছে।