১৪তম বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের প্রধান অতিথি দেশ ব্রাজিল
চীনা এবং বিদেশী চলচ্চিত্র শিল্পের মধ্যে আদান-প্রদান ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করা এবং বেইজিং চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়ানোর জন্য ২০২১ সাল থেকে বেইজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব প্রধান অতিথি দেশ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রতি বছর একটি দেশ বা অঞ্চলকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং ধারাবাহিক সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দেশ বা অঞ্চলের চলচ্চিত্র সংস্কৃতি প্রদর্শিত হয়, উভয়পক্ষের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বিনিময় ও বোঝাপড়ার প্রচার করা এবং আন্তর্জাতিক বাজার ও সহযোগিতার সুযোগ প্রসারিত করা যায়। গত তিন বছরে বেইজিং ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল যথাক্রমে গ্রিস, আর্জেন্টিনা এবং থাইল্যান্ডকে প্রধান অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, অতিথি দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীকে বেইজিং ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ‘থিয়েনথান পুরস্কারের’ আন্তর্জাতিক জুরি হিসেবে প্রধান অতিথি দেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। প্রধান অতিথি দেশের চলচ্চিত্র সপ্তাহের কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। ‘প্রধান অতিথি দেশ’ প্রকল্প শুধুমাত্র দেশি-বিদেশী চলচ্চিত্রাঙ্গনের বিনিময়ের সেতু তৈরি করে না, বরং সাংস্কৃতিক কূটনীতির একটি সুদূরপ্রসারী মিশনও বহন করে, ফলে, দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের গভীর সংলাপ ও সহযোগিতায় চীনা চলচ্চিত্র শিল্পের বৈচিত্র্যময় বিকাশ ও প্রাণবন্ত সমৃদ্ধি লাভ করা সম্ভব হবে।
২০২৩ সালের ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল চীন সফর করেন। দুই দেশ যৌথভাবে চীন-ব্রাজিল ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছেছে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন ও ব্রাজিল যথাক্রমে পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান বাজারের দেশ। তাদের ব্যাপক সাধারণ স্বার্থ রয়েছে এবং উভয়পক্ষকে নিয়মিত কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখা, বাস্তব সহযোগিতা আরও গভীর করা, বিদ্যমান প্রধান সহযোগিতা প্রকল্পের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, মানবিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ আদান-প্রদান ও সহযোগিতা ঘনিষ্ঠতর করা এবং চীন-ব্রাজিলের বন্ধুত্বের বেসরকারি ভিত্তিকে সুসংহত করা উচিত্।