চীনে প্রতি পদক্ষেপে আছে নতুন শিক্ষা: মালদ্বীপের তরুণ নায়েফ
আশা পুরণে তারা চীনে এসেছেন আর স্বপ্ন পুরণে এখানে থাকা বেছে নিয়েছেন। চীনে আসার পর বিদেশিদের মধ্যে কী কী ঘটনা ঘটেছে?
সম্প্রতি মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু চীন সফর করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ও মালদ্বীপের বাস্তবসম্মত সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে এবং দু’দেশের ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী গভীরতর হয়েছে। “সবাইকে অভিবাদন, আমি নায়েফ। আমার চীনা নাম ফু চিনই। আমার বয়স ২৫ বছর এবং এখন সিছুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ডক্টরেট পর্যায়ের গবেষণা করছি।”
২০২৩ সালের বসন্তকালে ১০ ঘন্টারও বেশি সময়ের বিমানযাত্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করে নায়েফ মালদ্বীপ থেকে তার স্বপ্নের দেশ চীনে পৌঁছান। যদিও তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য দূরশিক্ষণ মাধ্যমে অধ্যয়ন করছিলেন এবং মনে মনে অসংখ্যবার চীন কেমন হবে তা কল্পনা করছিলেন, তবে বিমানটি অবতরণ করার মুহুর্তে নায়েফ বলেছিলেন যে, তিনি খুব উত্তেজিত ও নার্ভাস বোধ করেন। তার হৃদয় দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছিল। তিনি বলেন,
“আমি যখন প্রথমবার সত্যিকার চীনের ভূমিতে এসে দাঁড়াই, তখন আমার জন্য সবকিছু ছিল নতুন। কারণ প্রতিটি জায়গা আমার দেশের তুলনায় ভিন্ন রকম।”
মালদ্বীপ হলো ভারত মহাসাগরে অবস্থিত সমুদ্রবেষ্টিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। খাদ্য, সংস্কৃতি ও এমনকি জীবনের সকল দিক সমুদ্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতু শহর চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি নায়েফের প্রথম গন্তব্যবস্থান। এখানকার জলবায়ু, খাবার ও সংস্কৃতি তার জন্মস্থানের চেয়ে অনেক আলাদা।
“খাবারে অনেক পার্থক্য আছে। মালদ্বীপে আমরা প্রায় প্রতিদিন মাছ খাই, বিশেষ করে টুনা। ছেংতু শহরে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন।”