তানজানিয়ার কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের দশক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
বত্রিশ বছর বয়সী আশা ফাম কামিস হচ্ছেন কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের একজন দেশীয় চীনা ভাষার শিক্ষক। একজন স্থানীয় তানজানিয়ান হিসেবে তিনি মনে করেন যে, চীনা ভাষা শেখার ফলে তার জীবন বদলে গেছে। তিনি বলেন, “চাইনিজ শিখতে এবং বৃত্তি নিয়ে চীনে পড়াশোনা করতে না পারলে আমি এখনও জাঞ্জিবারে একটি ছোট নৌকায় মাছ ধরতাম।”
আশা ফাম কামিস হেসে বলেন, “আমি ইতোমধ্যেই আমার ছেলেকে চীনা ভাষা শেখাতে শুরু করেছি।”
আশা ফাম কামিস আরও বলেন, “যেহেতু তানজানিয়ায় চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ধীরে ধীরে বাড়ছে, চীনা ভাষায় দক্ষ তানজানিয়ান প্রতিভাদের চাহিদাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিন চীনের বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলো কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করে এবং চাইনিজ জানা তানজানিয়ান শিক্ষার্থীদের খুঁজে পেতে চায়।”
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, চীনা ভাষা শেখা তানজানিয়ার তরুণদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত তৈরি করতে পারে, তাই চীনা শেখানোর ক্ষেত্রে তার একটি দৃঢ় দায়িত্ববোধ আছে।
দার এস সালামের রাস্তায় অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইকেল চালিয়ে নারকেল বিক্রি করেন এবং তারা যখনই কোনও এশিয়ানকে দেখেন, তারা প্রায়ই বলেন, “নি হাও।”
চাং সিওচেন বলেন, “গত দশ বছরে আমরা তানজানিয়ায় ৬০ হাজারেরও বেশি চীনা ভাষার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এসব শিক্ষার্থী যে চীনা ভাষা শিখেছে, তা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের শেখাবে, ফলে আরও বেশি সংখ্যক স্থানীয় লোক চীনা ভাষা শিখবে।”
চাং সিওচেন বলেন, বিগত ১০ বছরে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট চীন ও তানজানিয়ার সাংস্কৃতিক বিনিময় বেগবান করার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ইনস্টিটিউট চীনা ভাষা শেখা ছাড়াও, বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করেছে, যেমন বসন্ত উত্সবের অনুষ্ঠান, চীনা ভাষায় বক্তৃতার প্রতিযোগিতা, চীনা সিনেমার সপ্তাহ প্রভৃতি। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তানজানিয়ার জনগণ আরো গভীরভাবে চীনের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আধুনিক উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন।